খালেদা জিয়ার অবস্থা স্থিতিশীল

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুন ১২, ২০২২, ০১:৫৮ পিএম
খালেদা জিয়ার অবস্থা স্থিতিশীল

বেগম খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি

ঢাকা : হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল আছে। তার মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান রোববার (১২ জুন) সকালে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার অবস্থা স্থিতিশীল আছে। দুশ্চিন্তা করার মতো পরিস্থিতি নেই। তিনি কথা-বার্তা বলতে পারছেন।

শনিবার (১১ জুন) হার্টে রিং পরানোর পর থেকে খালেদা জিয়া রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) আছেন। ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন সার্বক্ষণিক তার খোঁজ-খবর রাখছেন।

তিনি আরো বলেন, বাসার ব্যক্তিগত সহকারীরা হাসপাতালেও খালেদা জিয়ার সাথে আছেন। এছাড়া খালেদা জিয়ার ভাই, বোন ও ভাবি নিয়মিতভাবে তাকে দেখে যাচ্ছেন। তার করোনাভাইরাস সংক্রান্ত কোনো জটিলতা নেই। গতকাল তার শ্বাসকষ্ট (সাফোকেশন) দেখা দিলেও, আজ শ্বাসকষ্ট হচ্ছে না।

এদিকে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার সাথে যুক্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, খালেদা জিয়ার হার্টে রিং বসানো হয়েছে যে এখনো ২৪ ঘণ্টা হয়নি। এসব ক্ষেত্রে ৭২ ঘণ্টার আগ পর্যন্ত রোগীর প্রকৃত অবস্থা বোঝা যায় না। তাই ম্যাডামের বর্তমান যে শারীরিক অবস্থা, এতে বলা যায় আপাতত স্থিতিশীল আছেন।

গত শুক্রবার (১০) গভর রাতে খালেদা জিয়া অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে গুলশানের বাসা থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেয়া হয়৷ সেখানে প্রথমে তার হার্টের এনজিওগ্রাম করা হয়। এরপর এনজিওপ্লাস্টি করা হয়।

গতকাল ডা. জাহিদ বলেছেন, তার হার্টে তিনটি ব্লক ধরা পড়লেও একটিতে রিং পরানো হয়েছে জীবনরক্ষার জন্য। তার অবস্থা স্থিতিশীল হওয়ার পর বাকি দুইটিতে রিং পরানো হবে। তার কিডনি ও এনজিওট্রান্সমিশন একটু স্থিতিশীল হলে বাকি দুইটি এনজিওপ্লাস্টি করা হবে। লিভার ফাংশন ঠিক না হলে কিছু করা যাবে না। তাহলে যেকোনো সময় তার অবস্থা আরো খারাপ হয়ে যেতে পারে।

তিনি জানান, খালেদা জিয়ার লিভারে সমস্যা,  ফুসফুসে সমস্যা, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস এবং হাইপারটেনশনসহ আরো কিছু কিছু ক্রনিক ডিজিজ আছে। সেগুলোরও তেমন কোনো উন্নতি নেই। তাই মেডিকেল বোর্ড বলেছে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাকে দেশের বাইরে চিকিৎসার জন্য পাঠাতে।

৭৬ বছর বয়সি খালেদা জিয়া এই নিয়ে মোট পাঁচবার হাসপাতালে ভর্তি হলেন। এর আগে টানা ২১ দিন হাসপাতালে থাকার পর গত ২১ ফেব্রুয়ারি তিনি বাসায় ফেরেন। এর আগে গত বছরের ২৮ নভেম্বর চিকিৎসকরা তার লিভার সিরোসিসের কথা বলেছিলেন।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Link copied!