‘কর্মপাগল-ক্লিনরা’ই পেলেন পদোন্নতি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক  | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: অক্টোবর ২৪, ২০১৬, ০৬:০৯ পিএম
‘কর্মপাগল-ক্লিনরা’ই পেলেন পদোন্নতি

ঢাকা: ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে দলের কার্যনির্বাহী সংসদের আংশিক নেতৃত্ব নির্বাচন করা হয়েছে। নির্বাচনে কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদোন্নতি পেয়েছেন পাঁচজন নেতা। এর মধ্যে পাঁচজন সম্পাদকমণ্ডলী থেকে চলে গেছেন সভাপতিমণ্ডলীর পদে। আর একজন মাত্র কার্যনির্বাহী সদস্য থেকে হয়েছেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

ঘোষিত কমিটিতে পদোন্নতি পাওয়া নেতারা হলেন- নুরুল ইসলাম নাহিদ, কর্নেল (অব.) ফারুক খান, ড. আব্দুর রাজ্জাক, অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান খান। এসব নেতা প্রত্যেকেই পেয়েছেন সভাপতিমণ্ডলীর পদ। শুধুমাত্র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের পদ পেয়েছেন আব্দুর রহমান।

গেল ২২ ও ২৩ অক্টোবর দুদিনব্যাপী জাতীয় সম্মেলনের শেষ দিনে ৮১ সদস্যের কার্যনির্বাহী সংসদের ২৩ পদের নেতা নির্বাচন করা হয়েছে। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নির্বাচিত নেতাদের সঙ্গে পরামর্শ করে সভাপতি কমিটির বাকি সদস্যদের নাম ঘোষণা করবেন।

অভিজ্ঞরা বলছেন, যারা দলের জন্য নিবেদিতপ্রাণ, আর যারা বিগত সময়ে নিজ নিজ অব্স্থান থেকে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে গেছেন তাদেরই পদোন্নতি হয়েছে। 

সভাপতিমণ্ডলীতে স্থান পাওয়া নুরুল ইসলাম নাহিদ ছিলেন কার্যনির্বাহী সংসদের শিক্ষা ও মানবস্পদ উন্নয়ন সম্পাদক। বিদায়ী কমিটিতেও তিনি ছিলেন একই পদে।রাজনৈতিক জীবনে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকা নাহিদ পরে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। সিপিবির তিনি সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। নুরুল ইসলাম নাহিদ আওয়ামী লীগের বিগত সরকার ও বর্তমান সরকারের শিক্ষামন্ত্রী। মন্ত্রী হিসেবে তার সফলতা অনেক। তিনি ক্নিন ইমেজের পরিশ্রমী মন্ত্রী হিসেবেও পরিচিত।

কর্নেল (অব.) ফারুক খান আগে শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক পদে থাকলেও পরে আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। আওয়ামী লীগের গত সরকারের সময় তিনি বাণিজ্যমন্ত্রী ও পরে বেসরকারি বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী ছিলেন। ফারুকও ছিলেন ক্নিন ইমেজের।

বিগত মহাজোট আমলে ড. রাজ্জাক ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী। দীর্ঘদিন দলের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। 

অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান খান গত তিন কমিটিতে টানা দপ্তার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। বিগত সরকারের সময়ে তিনি গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। তাকে নিয়ে তেমন কোনো অভিযোগ নেই।

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদ পাওয়া আবদুর রহমান আশির দশকের স্বৈরাচারবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নেতা। ছাত্রলীগের সাবেক এই সাধারণ সম্পাদক ২০০২-এর সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে থেকে খুলনা বিভাগের দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ২০০৯ সালের সম্মেলনে তাকে কার্যনির্বাহী সদস্য করা হয়। ২০১২ সম্মেলনেও তিনি কার্যনির্বাহী সদস্যই থেকে যান।

২০তম জাতীয় সম্মেলনে দলের গঠনতন্ত্র সংশোধন করে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের পদ তিনজন থেকে বাড়িয়ে চারজন করা হয়। এই চার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের একজন হলেন আব্দুর রহমান।

বলা বাহুল্য, দলের সভাপতিমণ্ডলীতে পাঁচজনের পদোন্নতি হলেও বাদ পড়েছেন নুহু উল আলম লেনিন ও সতীস চন্দ্র রায়।

সোনালীনিউজ/এমএন

Link copied!