ছবি: সংগৃহীত
দেশে সাম্প্রতিক অঘটন, অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি এবং নির্বাচনকে ঘিরে চক্রান্তের অভিযোগ তুলে জরুরি সংবাদ সম্মেলন করেছে গণঅধিকার পরিষদ।
সোমবার (২০ অক্টোবর) বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান। তিনি বলেন, যেহেতু জাতীয় জুলাই সনদ স্বাক্ষরিত হয়েছে, দ্রুত সময়ের মধ্যে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করে আইনগত ভিত্তি প্রদান করতে হবে। নির্বাচনের বিলম্বই বর্তমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বাড়িয়ে তুলছে। নির্বাচনের নামে পরিস্থিতি ঘোলাটে করে আরেকটি ১/১১ সৃষ্টির চক্রান্ত শুরু হয়েছে।
লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের নেতারা বলেন, জাতীয় জুলাই সনদ ইতোমধ্যে স্বাক্ষরিত হলেও এখনো তা বাস্তবায়নের আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। দ্রুত সময়ের মধ্যে সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি না করলে অস্থিতিশীলতা আরও বাড়বে বলে তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
নেতারা বলেন, জানুয়ারি মাসেই জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। তবে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রশাসন পুনর্গঠন জরুরি। পূর্ববর্তী নির্বাচনগুলোর সঙ্গে জড়িত বিতর্কিত কর্মকর্তাদের অপসারণ ও বিচারের দাবি জানানো হয়।
সংগঠনটির নেতারা আরও বলেন, আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের রাজনীতি সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ না করলে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। তারা মনে করেন, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের বিকল্প নেই।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে গণঅধিকার পরিষদ নেতারা বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি যৌক্তিক। দ্রুত দাবি বাস্তবায়ন না হলে শিক্ষকদের সঙ্গে নিয়ে যমুনা থেকে সচিবালয় পর্যন্ত কর্মসূচি দেওয়া হবে।
বিমানবন্দরসহ দেশের বিভিন্ন স্থাপনায় সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাকে ‘সুপরিকল্পিত’ উল্লেখ করে সংগঠনটি উদ্বেগ প্রকাশ করে। তারা মনে করে, দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে একটি চক্র সক্রিয় রয়েছে।এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত এবং বিমান, স্থল ও নৌবন্দরে নিরাপত্তা জোরদারের আহ্বান জানানো হয়।
গণঅধিকার পরিষদের নেতারা বলেন, তারা অন্তর্বর্তী সরকারের পদক্ষেপকে সমর্থন করে এসেছেন, তবে সেই প্রত্যাশার প্রতিফলন এখনও দৃশ্যমান নয়। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিতে উদ্বেগ জানিয়ে তারা বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের সময়ের মতো জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া আর যেন না ঘটে- সেই নিশ্চয়তা সরকারকে দিতে হবে।
নেতারা আরও বলেন, জনগণের পক্ষে অবস্থান নিয়েই তারা শান্তিপূর্ণ পরিবর্তনের পথে অটল। জানুয়ারির মধ্যেই নির্বাচন সম্পন্ন করে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের উচ্চতর পরিষদ সদস্য আবু হানিফ, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, অ্যাডভোকেট সরকার নুরে এরশাদ সিদ্দিকী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিলু খান, ময়মনসিংহ বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম আজহার এবং ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রিদওয়ান উল্লাহ খানসহ শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এসএইচ
আপনার মতামত লিখুন :