যারা দেশ চায়নি, তাদের কাছ থেকে শেখার কিছু নেই: ইশরাক

বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেছেন, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকেই চায়নি, তাদের কাছ থেকে গণতন্ত্রের শিক্ষা নেওয়ার প্রয়োজন নেই।

বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে চারটায় কবি নজরুল সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের আয়োজনে বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম সাদেক হোসেন খোকার ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ইশরাক হোসেন বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহাসিক পর্ব অতিক্রম করছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আগামী ফেব্রুয়ারিতে সম্ভাব্য জাতীয় নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণা করবে। সামনে একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন আসছে, তবে গত আট–দশটা নির্বাচনের মতো এবার আর হবে না।

তিনি বলেন, “ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে যাকেই চূড়ান্তভাবে মনোনয়ন দেওয়া হোক না কেন, আমরা তার পক্ষেই দেশব্যাপী কাজ করব, প্রচারণা চালাব এবং বিজয়ী করতে সহযোগিতা করব।”

ইশরাক আরও বলেন, যারা একসময় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিরোধিতা করেছে, তারা এখন গণতন্ত্রের কথা বলছে। অথচ বিএনপি জনগণের অধিকার আদায়ে গত ১৭ বছর ধরে লড়াই করে যাচ্ছে। এখন যারা নতুন নতুন দাবি তুলছে, তখন তারা আওয়ামী লীগের সঙ্গে একাকার হয়ে কাজ করেছে।

তিনি বলেন, বিএনপির প্রথম অঙ্গীকার হলো সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা, দ্বিতীয় অঙ্গীকার গণহত্যার বিচার নিশ্চিত করা এবং তৃতীয় অঙ্গীকার দেশে গণতন্ত্রকে স্থায়ীভাবে প্রতিষ্ঠা করা।

দেশনায়ক তারেক রহমানের দেওয়া স্লোগান উল্লেখ করে ইশরাক বলেন, “দিল্লি নয়, পিন্ডি নয়, নয় অন্য কোনো দেশ—সবার আগে বাংলাদেশ।” যারা এই ধারায় বিশ্বাসী, তারাই আগামী রাজনীতিতে জনগণের মনে স্থান করে নিতে পারবে। যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না, জনগণ যথাসময়ে তাদের বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কবি নজরুল সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইরফান আহমদ ফাহিম। সঞ্চালনায় ছিলেন সদস্যসচিব মো. নাজমুল হাসান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সাইদুর রহমান মিন্টু, দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন রিন্টু, কলেজ ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক কে. এম. সিরাজ ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক রোমান আহমেদ, কামরুল ইসলাম কাননসহ অন্যান্য নেতাকর্মী ও বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

এসএইচ