ছবি: সোনালীনিউজ
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী একসঙ্গে আসন সমঝোতা করতে পারে-এই ইঙ্গিত দিয়েছেন জামায়াতের শীর্ষ নেতৃত্ব। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, তাদের এই সমঝোতা বিরোধী শিবিরকে শক্তিশালী করতে পারে এবং নির্বাচনী যুদ্ধকৌশলে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে।
জামায়াতের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানান, নির্বাচনে কম আসনে অংশ নিয়ে বিরোধী শিবিরে অবস্থান নিলে দলের রাজনৈতিক অবস্থান দুর্বল হবে। তাই বিএনপির সঙ্গে সমঝোতা করে সংসদে আসন বৃদ্ধি এবং সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি করাই তাদের মূল লক্ষ্য। এছাড়া, মন্ত্রিসভায় অংশ নিলে মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীদের প্রভাবও বাড়বে।
জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের জানিয়েছেন, বিএনপির সঙ্গে সমঝোতা তাদের জন্য কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরও বলেন, সরকারের বাইরে বিরোধী শিবিরে থাকলে জনস্বার্থে সরব হওয়া জটিল হয়ে যাবে এবং দলটির জন্য রাজনৈতিক অসুবিধা সৃষ্টি হতে পারে।
অন্যদিকে, জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ডা. হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, নির্বাচনে বিরোধী শিবিরে কেন যাওয়া? জনগণের ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন নিয়ে সরকার গঠনই জামায়াতের লক্ষ্য।
তিনি বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের জয়লাভের সম্ভাবনা রয়েছে-তবু জনগণ ছদ্মবেশী প্রার্থীদের চিনে ফেলবে এবং আসল শক্তিকে সমর্থন করবে।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, জামায়াত ও বিএনপির এই আসন সমঝোতা বিরোধী শিবিরকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি নির্বাচনী সমীকরণেও নতুন মাত্রা যোগ করবে। এর ফলে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনেও চ্যালেঞ্জ তৈরি হতে পারে, যা পুরো নির্বাচনী কৌশলকে প্রভাবিত করবে।
এসএইচ
আপনার মতামত লিখুন :