ফাইল ছবি
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে বাংলাদেশের কাছে অবিলম্বে হস্তান্তরের আহ্বান জানিয়েছে ভারতের এনসিপি সমর্থিত ন্যাশনাল ল’ইয়ার্স অ্যালায়েন্স। প্রত্যর্পণ চুক্তির বাধ্যবাধকতার কথাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছে সংগঠনটি। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ঘোষিত রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে তারা।
সোমবার প্রকাশিত বিবৃতিতে সংগঠনটি জানিয়েছে, বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থার জন্য এটি একটি ঐতিহাসিক দিন। জুলাই বিপ্লবে ছাত্র–জনতার ওপর গুম, খুনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মন্ত্রিসভার সদস্যদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিচার হয়েছে আইনসম্মত প্রক্রিয়ায়। রায়টি ফ্যাসিবাদী প্রবণতার রাজনীতির জন্যও একটি সতর্কবার্তা বলে মনে করছে সংগঠনটি।
অ্যালায়েন্স বলছে, প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ী ভারতের দায়িত্ব হলো মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের বাংলাদেশে ফিরিয়ে দেওয়া। তাদেরকে তৃতীয় কোনো দেশে পাঠানো যাবে না এবং যেসব দেশে মৃত্যুদণ্ডের বিধান নেই, সেখানে পাঠানোর অপচেষ্টা যেন না হয়—এ দাবি জানাতেও তারা পিছপা হয়নি।
সংগঠনটি মনে করে, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের শাস্তি কম হয়েছে। এ কারণে ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরকে আপিল বিভাগে আপিল করার আহ্বান জানিয়েছে তারা।
জুলাই বিপ্লবে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় গত সোমবার ঘোষণায় শেখ হাসিনাকে পাঁচটি অভিযোগের একটিতে মৃত্যুদণ্ড এবং আরেকটিতে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আসাদুজ্জামান খান কামালকে সবগুলো অভিযোগে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। রাজসাক্ষী হওয়ায় সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ আল-মামুনকে দেওয়া হয়েছে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড।
ভারতে পলাতক থাকা শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামাল চাইলে উচ্চ আদালতে আপিল করতে পারবেন, তবে তার জন্য আগে দেশে ফিরে আত্মসমর্পণ করে কারাগারে যেতে হবে।
এসএইচ
আপনার মতামত লিখুন :