ফাইল ছবি
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার লন্ডনে উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজনেই দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এখন দেশে ফেরেননি। তার উপদেষ্টা মাহদী আমিন জানিয়েছেন, তারেক রহমানের এই সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক নয়, সম্পূর্ণ মাকে বাঁচানোর প্রয়োজন এবং সিসিইউনির্ভর চিকিৎসা পরিবেশে নিরাপত্তাজনিত বিশৃঙ্খলা এড়াতে নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মাহদী আমিন বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেন। তিনি বলেন, দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকদের অক্লান্ত পরিশ্রম, দেশবাসীর দোয়া ও কূটনীতিকদের সহযোগিতায় খালেদা জিয়ার শারীরিক অগ্রগতি হয়েছে। উন্নত ও সর্বাধুনিক চিকিৎসা নিশ্চিত করতে তাকে অতি শীঘ্র লন্ডনের হাসপাতালে ভর্তি করা হবে।
তিনি আরও বলেন, এই চিকিৎসা-প্রক্রিয়ার কেন্দ্রবিন্দুতে আছেন ডা. জুবাইদা রহমান, যিনি লন্ডন থেকে সব সমন্বয় করছেন। তিনি আজই দেশের উদ্দেশে রওনা হয়ে কাল সকালে ঢাকা পৌঁছানোর চেষ্টা করবেন, যাতে দেশনেত্রীকে কাতারের অত্যাধুনিক এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে লন্ডন নেওয়া যায়। লন্ডনের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রিচার্ড বিল ইতিমধ্যেই ঢাকায় এসে থাকায়, প্রয়োজনে তারেক রহমান সরাসরি ঢাকায় না আসলেও চিকিৎসার সব ব্যবস্থা তদারকি করা হচ্ছে।
মাহদী আমিন বলেন, তারেক রহমান শুধু বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নন, একাধারে শহীদ জিয়া ও আপসহীন নেত্রীর আদর্শবাহী সন্তান। মায়ের সুস্থতা ও দেশের স্থিতির স্বার্থে তিনি দেশে না আসলেও সব ব্যবস্থাপনা ব্যক্তিগতভাবে নিয়ন্ত্রণ করছেন। তার আসা মানে হত জনসমাবেশ ও নিরাপত্তাজনিত বিশৃঙ্খলা, যা চিকিৎসা ব্যাহত করতে পারত।
তিনি বলেন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়া তারেক রহমানের কাছে প্রথমে মা, তারপর নেত্রী। তাই তার মায়ের জন্য যা সবচেয়ে প্রয়োজন, সেটিই তিনি করছেন। মাহদী আমিন দেশের জনগণকে দেশনেত্রীর দ্রুত আরোগ্য কামনা করতে আহ্বান জানান।
এবারও তিনি যোগ করেন, দেশনেত্রী নিরাপদে লন্ডনে পৌঁছালে তারেক রহমান সমস্ত স্থানীয় ব্যবস্থা সম্পন্ন করে শীঘ্রই দেশে ফিরবেন। বিএনপি প্রস্তুত তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে গভীর ভালোবাসায় বরণ করতে।
এসএইচ
আপনার মতামত লিখুন :