সন্তানের পর না ফেরার দেশে মা, বাবাও মৃত্যুশয্যায়

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মার্চ ১, ২০২০, ১০:৪৬ এএম
সন্তানের পর না ফেরার দেশে মা, বাবাও মৃত্যুশয্যায়

ঢাকা: আগুনে পুড়ে একমাত্র সন্তানের মৃত্যুর চারদিনের মাথায় মারা গেলেন জান্নাতুল ফেরদৌস। আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে তাদের একমাত্র সন্তান রুশদি। এই ঘটনায় হাসপাতালে এখনও মৃত্যুশয্যায় কাতরাচ্ছেন তার স্বামী শহিদুল কিরমানী।

রোববার (১ মার্চ) সকালে শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। জান্নাতুলের ৯৫ শতাংশ পুড়ে গিয়ে ছিল। চিকিৎসাধীন শহিদুল কিরমানী ৪৩ শতাংশ পুড়ে গেছে। তিনিও শঙ্কামুক্ত নয় বলে জানিয়েছেন বার্ন ইউনিটের পরিচালক ডাঃ সামন্ত লাল সেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে নিউ ইস্কাটনের দিলু রোডের একটি পাঁচতলা ভবনের গ্যারেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। 

হাতপাতালে কাতরাতে কাতরাতে শহিদুল কিরমানী জানান, ভোর রাতে আগুনের খবর পেয়ে সিঁড়ি দিয়ে নামছিলাম দ্রুত। এসময় আমার কোল থেকে ছিটকে পড়ে রুশদি। তারপর অনেক খুঁজেও ওকে পেলাম না।

আগুনে দগ্ধ শহিদুল কিরমানী তার স্ত্রী জান্নাতুলসহ আরো তিন জন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন আছেন।

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তাদের চার বছরের সন্তান মারা গেছেন। এছাড়া বাড়ির নিচ তলার বায়িং হাউজের থাকা কাদিরসহ আরেকজন নারী নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে দগ্ধ শহিদুলের বাবা নিহত রুশদির দাদা এ কে এম শহীদুল্লাহ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নাতির মরদেহ দেখেও ঠিকমত শনাক্ত করতে পারেননি। তিনি জানান, আমার নাতি রুশদি। তবে আগুনে পুড়ে যাওয়ায় শিশুটির মরদেহ ঠিকমতো চেনা যাচ্ছে না।

এ কে এম শহীদুল্লাহ আরো জানান, শহিদুল ও তার স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস দুজনে একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করে।

ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের ডিউটি অফিসার রাসেল শিকদার জানান, অগ্নিকাণ্ডের সময় আগুন নিয়ন্ত্রণের পর নিচতলার বাথরুম থেকে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আর ভবনটির দ্বিতীয় তলায় সিঁড়ি থেকে এক নারী ও এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। 

ঢাকা মেডিক্যাল পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ ইন্সপেক্টর বাচ্চু মিয়া জানান, স্বামী-স্ত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তারা ঢামেক বার্ন ইউনিটের দ্বিতীয় তলায় চিকিৎসাধীন।

সোনালীনিউজ/এএস

Link copied!