জমে উঠেছে রাজধানীর ফুটপাত

  • নিউজ ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মে ১২, ২০২১, ০৫:৪৪ পিএম
জমে উঠেছে রাজধানীর ফুটপাত

ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা: রাজধানীর ফুটপাতগুলোয় আবারও সরব হকারের দল। তাদের কাছে গেলে ব্যাইছা লন দুইশ', দেইখ্যা লন দুইশ' ডাকে কানপাতা দায়! করোনাকালের ঈদকে সামনে রেখে জমতে শুরু করেছে রাজধানীর ফুটপাতগুলো।

নিম্ন ও নিম্ন মধ্যবিত্তরা সাধ আর সাধ্যের সমন্বয়ে স্বল্পমূল্যে পছন্দের পোশাক কিনতে ফুটপাতের দোকানগুলোতে ভিড় জমাচ্ছেন। ক্রেতা-বিক্রেতার দামাদামিতে সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ফুটপাতের বাজার সরগরম থাকছে।

সব মিলিয়ে রাজধানীর অর্ধশতাধিক স্থানে চলছে ফুটপাতে ঈদের কেনাবেচা। এসবের মধ্যে জমে উঠেছে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ হকার্স সমিতি মার্কেট, গুলিস্তান মোড়ের চারপাশের ফুটপাত, গোলাপ শাহ মাজারসংলগ্ন ফুটপাত, বঙ্গবাজার, নিউমার্কেট, গাউছিয়া, চাঁদনী চক এলাকা থেকে শুরু করে সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড় পর্যন্ত ফুটপাতের কেনাকাটা।

এসব ফুটপাত থেকে নিজেদের সাধ্য অনুযায়ী রঙবেরঙের পোশাক কিনছেন সবাই। তবে এবার দাম বেশি রাখা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে ক্রেতাদের।

এর জবাবে বিক্রেতারা বলছেন, করোনার কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল দোকান। এবার ঈদের আগে দোকান খুললেও গণপরিবহন বন্ধ ছিল। ফলে বিক্রি ভালো হয়নি। বাস চলাচল শুরুর পর বিক্রি বেড়েছে।

রাজধানীর বিভিন্ন ফুটপাতের মার্কেট ভেদে ছেলেদের শার্ট পাওয়া যাচ্ছে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকায়, জিন্স ৩৫০ থেকে সাড়ে ৮০০ টাকায়, টি-শার্ট ১৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা, মেয়েদের থ্রি-পিস ৪৫০ টাকা থেকে এক হাজার টাকা, শাড়ি ৪০০ থেকে আড়াই হাজার টাকার মধ্যে।

বাচ্চাদের থ্রি-কোয়াটার জিন্স প্যান্ট ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, গেঞ্জির সেট ২০০ থেকে ৬০০ টাকা, ফ্রক ও টপস ২৫০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে।

গুলিস্থান এলাকার ফুটপাতের শার্ট বিক্রেতা আব্দুল আজিজ বলেন, গুলিস্থান ব্যস্ত এলাকা। সারাক্ষণই মানুষ থাকে। ফলে বিক্রিও ভালো।  

রমনা ভবনের সামনের ফুটপাত ব্যবসায়ী আমজাদ বলেন, প্রথমে বেচাবিক্রির অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। গাড়ি ছাড়ার পর বিক্রি বাড়ছে।

আরেক বিক্রেতা মো. নিরব বলেন, বেচাবিক্রি এখন ভালোই। আশা করছি কিছুটা হলেও ক্ষতি পুষিয়ে নেব।

সোনালীনিউজ/টিআই

Link copied!