ঈমানের পর ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আমল হলো নামাজ। নামাজের গুরুত্ব ও মর্যাদা অসংখ্য হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। এর মধ্যে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে জামাতে প্রথম কাতারে নামাজ আদায় করার ওপর।
প্রথম কাতারের গুরুত্ব
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন—
“তোমরা সামনের কাতারে এগিয়ে এসো এবং আমাকে অনুসরণ করো, যেন তোমাদের পরবর্তী লোকেরা তোমাদের অনুসরণ করতে পারে। মানুষ যদি পিছনে হটতে থাকে, তবে আল্লাহও তাদের পেছনে সরিয়ে দেন।”
—সহিহ মুসলিম
অন্য একটি হাদিসে তিনি বলেন—
“মানুষ যদি আজান ও প্রথম কাতারের সওয়াব সম্পর্কে জানত, আর তা অর্জনের আর কোনো উপায় না থাকত তবে তারা এজন্য লটারি করত।”
—সহিহ বুখারি, সহিহ মুসলিম
এশা ও ফজরের জামাতে অংশগ্রহণের ফজিলত সম্পর্কেও তিনি ইঙ্গিত করে বলেছেন—
“মানুষ যদি জানত এশা ও ফজরের নামাজের সওয়াব কী, তবে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও মসজিদে আসত।”
কাতারের ফাঁকা পূরণ করার ফজিলত
প্রথম কাতারে নামাজ আদায়ের পাশাপাশি কাতার সোজা রাখা এবং ফাঁকা পূরণ করারও আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। বারা ইবনে আজেব (রা.) থেকে বর্ণিত,
“আল্লাহ রহমত বর্ষণ করেন এবং ফেরেশতারা দোয়া করেন তাদের জন্য যারা প্রথম কাতার পূরণ করে দাঁড়ায়। আর যে পদক্ষেপে বান্দা কাতারের ফাঁকা পূরণ করে, আল্লাহর কাছে সেই পদক্ষেপের চেয়ে প্রিয় আর কিছু নেই।”
—আবু দাউদ, হাদিস: ৫৪৩
ফেরেশতাদের মতো কাতারবদ্ধ হওয়া
একবার সাহাবিদের উদ্দেশ্যে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন—
“তোমরা কি সে রকমভাবে কাতারবদ্ধ হবে না, যেমন ফেরেশতারা তাদের রবের সামনে কাতারবদ্ধ হয়?”
সাহাবিরা জানতে চান, ফেরেশতারা কিভাবে কাতারবদ্ধ হয়? তখন তিনি বলেন— “তারা প্রথম কাতার পূর্ণ করে, তারপর পরবর্তী কাতারগুলো পূরণ করে এবং ফাঁকা না রেখে ঘেঁষে দাঁড়ায়।”
—সহিহ মুসলিম: ৪৩০
প্রথম কাতারে নামাজ পড়া, কাতার সোজা রাখা এবং ফাঁকা পূরণ করা শুধু শৃঙ্খলার বিষয় নয়, বরং তা আল্লাহর বিশেষ রহমত ও সওয়াবের মাধ্যম। তাই মুসল্লিদের উচিত যথাসম্ভব মসজিদে আগে পৌঁছানো, প্রথম কাতারে দাঁড়ানো এবং কাতার পূর্ণ করা।
আপনার মতামত লিখুন :