আজ থেকে বুস্টার ডোজ শুরু

মন্ত্রণালয় ও নাইট্যাগ মুখোমুখি

  • বিশেষ প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৯, ২০২১, ১২:০২ পিএম
মন্ত্রণালয় ও নাইট্যাগ মুখোমুখি

ঢাকা : করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন প্রতিরোধে দেশে আজ থেকে টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হচ্ছে। যাদের টিকা নেওয়ার সময় ছয় মাস অথবা এক বছর হয়ে গেছে প্রথমে তারাই এই বুস্টার ডোজ পাবেন। তবে এখনই বুস্টার ডোজ দেওয়ার প্রক্রিয়া নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কঠোর বিরোধিতা করছেন ন্যাশনাল ইমিউনাইজেশন টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজারি গ্রুপ (নাইট্যাগ)।

যদিও এর আগে নাইট্যাগের পরামর্শ অনুযায়ী স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলেও ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ দেওয়া নিয়ে এবার দুই ধরনের সিদ্ধান্ত দেখা গেছে।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও নাইট্যাগের সদস্যরা বলছেন, দেশের ৮০ শতাংশ জনসংখ্যাকে ভ্যাকসিন প্রয়োগ না করে বুস্টার ডোজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাস্তবসম্মত নয়। একইসঙ্গে বর্তমানে দেশে ৬০ বছরের বেশি বয়সী নাগরিকদের বড় একটি অংশ এখন পর্যন্ত এক ডোজ ভ্যাকসিনই পাননি। এ অবস্থায় বুস্টার ডোজের সিদ্ধান্ত হবে বৈষম্যমূলক। তাছাড়া ওমিক্রনের চেয়েও বেশি বিপজ্জনক ডেল্টা ও অন্যান্য ভ্যারিয়েন্ট।

এগুলোর কারণে কিন্তু ইউরোপের দেশগুলোসহ অন্যান্য দেশে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে এবং এসব ভ্যারিয়েন্টই মৃত্যুর কারণ হচ্ছে। সেখান থেকে নিরাপদে থাকতে হলে আমাদের দুই ডোজ ভ্যাকসিনের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে সবার মধ্যে। সেটা হয়ে গেলে তারপর বুস্টার ডোজের বিষয়ে ভাবা যেতে পারে। এর আগে বুস্টার ডোজ দেওয়ার যৌক্তিকতা কোথায় এটা নাইট্যাগ বুঝতে পারছে না।

এদিকে শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক মানিকগঞ্জেরে একটি অনুষ্ঠানে জানান, রাজধানীর মহাখালীতে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস (বিসিপিএসএ) প্রতিষ্ঠানে আজ রোববার সকালে বুস্টার টিকার কার্যক্রম শুরু করা হবে। যাদের টিকা নেওয়ার সময় ছয় মাস অথবা এক বছর হয়ে গেছে প্রথমে তারাই করোনা টিকার বুস্টার ডোজ পাবেন।

দেশে ফাইজারের টিকা বুস্টার ডোজ হিসেবে ব্যবহার করা হবে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রথমে সম্মুখসারির ব্যক্তি হিসেবে চিকিৎসক, নার্স, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, গণমাধ্যমকর্মী এবং বয়স্কদের বুস্টার ডোজের আওতায় আনা হবে। পর্যায়ক্রমে বুস্টার ডোজ টিকাগ্রহীতাদের সংখ্যা বাড়তে থাকবে।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, দেশের প্রায় সাত কোটি মানুষকে করোনার প্রথম ডোজ টিকা ও প্রায় সাড়ে চার কোটি মানুষকে দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়া সম্পন্ন হয়েছে। ইতিমধ্যে ৩০ ভাগ মানুষকে দুই ডোজ করে টিকা দেওয়া সম্ভব হয়েছে। এখনো দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণে টিকা রয়েছে। বর্তমানে দেশে ফাইজারের দুই কোটি ডোজ টিকা রয়েছে। সামনের মাসে আরো দুই কোটি টিকা আসবে। পর্যায়ক্রমে আরো তিন কোটি টিকা পাওয়া যাবে।

ওমিক্রন নিয়ে জাহিদ মালেক জানান, সারা বিশ্বে এখন করোনার ওমিক্রন ধরন ছড়াচ্ছে। ওমিক্রন থেকে রেহাই পেতে সব প্রস্তুতি এরই মধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। বিদেশ থেকে আসা ব্যক্তিদের দেশে প্রবেশের ৪৮ ঘণ্টা আগে করোনা টেস্ট করে আসতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

কোভিড-১৯ ভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট প্রতিরোধে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতন বাংলাদেশেও নানারকম পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

ইতোমধ্যেই দেশে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটিও ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ দেওয়ার সুপারিশ করেছে সরকারের কাছে। তবে এখনই এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্তের দিকে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে ভ্যাকসিন বিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কমিটি নাইট্যাগ।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের গঠন করা নাইট্যাগ দেশে ভ্যাকসিন প্রয়োগের বিষয়ে সরকারকে পরামর্শ দিয়ে থাকে।

এই কমিটিটি দেশের জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও অন্যান্য বিভাগের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত। ইতোপূর্বে দেশে সরকার ও কোভিড-১৯ মোকাবিলায় গঠিত জাতীয় পরামর্শক কমিটির পক্ষ থেকে নাইট্যাগের কাছে সুপারিশ চাওয়া হলে তারা পরামর্শ জানায়।

এর আগে গত ১৩ ডিসেম্বর কোভিড-১৯ মোকাবিলায় জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ফ্রন্টলাইনার ও ষাটোর্ধ্বদের বুস্টার ডোজ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়।

কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লার স্বাক্ষর করা ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১১ ডিসেম্বর কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির ৪৯তম সভায় বুস্টার ডোজের বিষয়ে আলোচনা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লা।

সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী কোভিড-১৯ বুস্টার ডোজ প্রদানের বিষয়ে জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির মতামত জানতে চেয়েছেন।

সুপারিশের বিষয়ে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোভিড-১৯ রুটিন ভ্যাকসিনেশনের জন্য পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন নিশ্চিত করে ষাটোর্ধ্ব জনগোষ্ঠী ও সম্মুখসারির যোদ্ধা, যাদের দুই ডোজ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন অন্তত ছয় মাস আগে দেওয়া হয়েছে, এমন জনগোষ্ঠীকে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ দেওয়া যেতে পারে।

কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি বুস্টার ডোজ দেওয়ার জন্য সুপারিশ করা বিষয়ে কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলান বলেন, আমরা বুস্টার ডোজ দেওয়ার বিষয়ে মত দিয়েছি। তবে সেটা নিয়মিত ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হবে না। স্বাভাবিক টিকাদান কর্মসূচি যেন অব্যাহত রেখে ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ দেওয়া যেতে পারে।

এছাড়াও আমাদের কেনা যে পরিমাণ ভ্যাকসিন বর্তমানে দেশে রয়েছে তার একটা এক্সপায়ারি ডেটের বিষয়েও কিন্তু ভাবা হয়েছে। যদি সেই ‘এক্সপায়ারি ডেট’ চলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে তবে যারা ঝুঁকিপূর্ণ এবং ৬০ বছরের বেশি বয়স ও সম্মুখসারির যোদ্ধা-তাদের দেওয়া যেতে পারে।

এদিকে নাইট্যাগের সদস্য ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. বেনজীর আহমেদ বলেন, আমাদের কাছে সরকার নানা পরামর্শ চায় ও আমরা সেটা পর্যালোচনা করে দেই।

সরকারের পক্ষ থেকে গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী মায়েদের ভ্যাকসিনের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে আমরা সে বিষয়ে পরামর্শ জানাই।

নাইট্যাগ প্রথম থেকেই মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরকে ভ্যাকসিনের বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে আসছে একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে। সেই মতামত পর্যালোচনা করে সরকার সুবিধা-অসুবিধা বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে।

এ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ জানান, নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন নিয়ন্ত্রণে বুস্টার ডোজের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত চেয়েছিল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তবে নাইট্যাগ মনে করে দেশের ৮০ শতাংশ জনসংখ্যাকে ভ্যাকসিন প্রয়োগ না করে বুস্টার ডোজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাস্তবসম্মত নয়। একইসঙ্গে বর্তমানে দেশে ৬০ বছরের বেশি বয়সী নাগরিকদের বড় একটি অংশ এখন পর্যন্ত এক ডোজ ভ্যাকসিনই পাননি। এ অবস্থায় বুস্টার ডোজের সিদ্ধান্ত হবে বৈষম্যমূলক।

ডা. বেনজীর আহমেদ আরো বলেন, দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হলে পরিকল্পনা অনুযায়ী ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। এক্ষেত্রে আমাদের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত নির্দিষ্টসংখ্যক জনসংখ্যার সবাইকে ভ্যাকসিন কার্যক্রমের আওতায় আনা। যদি একজন মানুষও সেখানে ভ্যাকসিনের দুই ডোজ না পেয়ে থাকেন, তবে অন্যরাও কিন্তু সুরক্ষিত, এমনটা বলা যায় না।

তিনি বলেন, নাইট্যাগের একটি বৈঠকে বুস্টার ডোজ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী যাদের আগে ভ্যাকসিন পাওয়ার কথা, তাদের দুই ডোজ দেওয়া আগে নিশ্চিত করতে হবে, এমনটা আলোচনা হয়েছে।

যারা এরই মধ্যে সুরক্ষিত, তাদের আবার বুস্টার ডোজ দেওয়াটা অনেকটা ডাবল বা ওভার সিকিউরিটি দেওয়ার মতো বিষয়। সেক্ষেত্রে যারা এক ডোজ ভ্যাকসিনও পাননি, তাদের ঝুঁকির মুখে ফেলে দেওয়া হবে। এ কারণেই মূলত আমরা এখনই বুস্টার ডোজ দিতে হবে, এমন কোনো মতামত দিইনি।

তিনি আরো বলেন, ওমিক্রন প্রতিরোধে অনেকে বুস্টার ডোজের বিষয়ে বলছেন। কিন্তু এই ওমিক্রনে এখন পর্যন্ত কোনো মৃত্যু হয়নি। ওমিক্রনের সংক্রমণ মাত্রাও ডেল্টার চাইতে বেশি, এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাই ওমিক্রনকে ঘিরে বুস্টার ডোজ তড়িঘড়ি করে দেওয়া অনেকটা খাপছাড়া পরিকল্পনা হয়ে যায়।

নাইট্যাগের সভাপতি অধ্যাপক ডা. চৌধুরী আলী কাওসার বলেন, অনেক দেশেই বুস্টার ডোজ দেওয়া হচ্ছে। এটিকে অনেকে থার্ড ডোজও বলা হয়। কিন্তু সেসব দেশগুলোতে ভ্যাকসিন কভারেজ অনেক বেশি। অর্থাৎ দেশগুলোতে অনেক বেশি মানুষকে দুই ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, আমেরিকা ও চীনে বুস্টার ডোজ দেওয়া হচ্ছে এখন। আমাদের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পাঁচটি দেশে বুস্টার ডোজ দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। কিন্তু কিছু নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে সেটা দেওয়া হবে। তবে আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে দেখা যাচ্ছে, প্রাথমিক পর্যায়ে দুই ডোজ ভ্যাকসিন অনেককেই দেওয়া সম্ভব হয়নি।

আমাদের মোট জনগোষ্ঠীর প্রায় ২২ থেকে ২৩ শতাংশকে দুই ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। আমাদের পরিকল্পনা, ডিসেম্বরের মধ্যে ৪০ শতাংশ জনগোষ্ঠীকে ভ্যাকসিনের আওতায় নিয়ে আসা।

বুস্টার ডোজের পরিবর্তে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করা প্রয়োজন বলে মনে করেন নাইট্যাগ সভাপতি।

তিনি বলেন, আমরা এই ডিসেম্বরের মধ্যে ৪০ শতাংশ জনগোষ্ঠীকে যেন ভ্যাকসিনের আওতায় আনতে পারি, সেটি নিশ্চিত করার জন্য কাজ করতে হবে। সেটি করতে না পারলে যারা এখন পর্যন্ত এক ডোজ ভ্যাকসিনও পাননি, তাদের মধ্যে সংক্রমণ দেখা দিলে মৃত্যুঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। সে কারণে আমরা মনে করছি, এখনই বুস্টার ডোজ জরুরি নয়।

আমাদের দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমিত হয়ে যারা মারা গেছেন তাদের বড় একটি অংশ বয়সে পঞ্চাশোর্ধ্ব। এই বয়সসীমার প্রায় ৭৬ শতাংশ মানুষ কোভিড-১৯ সংক্রমিত হয়ে মারা গেছেন।

তাই আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত, এই বয়সসীমার মানুষদের যত দ্রুত-সম্ভব দুই ডোজ ভ্যাকসিনের আওতায় আনা।

সেটি না করে বুস্টার ডোজ দেওয়া হলে এরই মধ্যে যারা ভ্যাকসিন নিয়ে প্রতিরোধ শক্তি গড়ে তুলেছেন, তাদেরই আরো শক্তিশালী করে তোলা হবে। অন্যদিকে যারা ভ্যাকসিনের এক ডোজও পাননি, তাদের ঝুঁকিতে ফেলে দেওয়া হবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন বলেন, নাইট্যাগের মিটিংয়েও বিষয়টি আলোচনা হয়েছে এটা যেমন সঠিক একইভাবে পরামর্শক কমিটির বৈঠকেও আলোচনা হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সকল বিষয়েই তো পরামর্শকদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম ঘটে নি।

তিনি বলেন, দেশে ৬০ বছরের বেশি বয়সসীমার অনেকেই ভ্যাকসিন নেন নি-এটা সত্যি। তবে ভ্যাকসিন গ্রহণে কিন্তু এখন মানুষের মাঝে অনেক কম আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। আর তাই লক্ষ্য পূরণের জন্য তো আমরা আমাদের ফ্রন্টলাইনার ও ঝুঁকিপূর্ণ বয়সের নাগরিকদের নিরাপত্তার দিকটা একদম অস্বীকার করতে পারি না।

আমরা নিয়মিত ভ্যাকসিন কার্যক্রম তো চালিয়ে যাচ্ছিই, এর পাশাপাশি যদি ঝুঁকিপূর্ণ বয়সসীমার নাগরিকদের ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ দিতে পারি তবে অনেকক্ষেত্রেই তাদের নতুন ভ্যারিয়েন্ট বা অন্যান্য বিপদ থেকে নিরাপত্তা দেওয়া যাবে বলে আশা করছি। তারা যদি নিরাপদে থাকে তবে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাপনার উপরেও চাপ থাকবে কিছুটা কম। এই সময়ে আমরা গুরুতর সংক্রমিতদের চিকিৎসার আওতায় আনতে পারবো।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Link copied!