নির্বাচনকালীন সরকার ইস্যু

জোট বাঁধার পথে বিরোধীরা

  • বিশেষ প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জানুয়ারি ১০, ২০২২, ১২:৫৬ পিএম
জোট বাঁধার পথে বিরোধীরা

ঢাকা : স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে জোট রাজনীতিতে জোড়ালো হচ্ছে নির্বাচনকালীন সরকার ইস্যু।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তত্ত্বাবধায়ক ইস্যুতে দেশের রাজনীতিতে নানা মেরুকরণ হলেও বাস্তবতা ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। তবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্দলীয় সরকারের দাবি আদায়ে বিরোধী দলগুলো নানা সমীকরণ কষেই চলছে।

এরই মধ্যে জাতীয় সরকার বা নির্বাচনকালীন সরকার ইস্যুতে একত্মতা প্রকাশ করেছে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এবারের নির্বাচন কয়েকটি কারণেই বেশ গুরুত্বপূর্ণ। ২০০৮ এর নির্বাচন হয়েছিল সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। তারপর ২০১৪ ও ২০১৮ সালে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ কোনো নির্বাচন হয়নি। সেই থেকেই দেশের নির্বাচনি ইতিহাস বিতর্কিত হয়ে আছে। আর এসব নির্বাচন পরবর্তী দেশের রাজনৈতিক সংকট ঘনীভূত হতে থাকে। তাই ২০২৩ সালের নির্বাচনটি পুরোপুরিভাবে অংশগ্রহণমূলক না হলে দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বড় ধরনের অস্থিরতা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।  

এক যুগের বেশি ক্ষমতার বাইরে থাকা দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি দল প্রতিনিয়ত দাবি জানিয়ে আসছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে হবে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। ধীরে ধীরে বিএনপি রাজনৈতিক ইস্যু হিসেবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থাকে সামনে নিয়ে আসছে।

পক্ষান্তরে, বিএনপির এই দাবির প্রশ্নে আওয়ামী লীগের নানা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের বক্তব্য হলো, নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে দেশে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। সংবিধান অনুযায়ী জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারের অধীনেই এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সংবিধানের বাইরে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নিরপেক্ষ সরকার-এরকম কোনো কিছুই গঠিত হবে না।

বাংলাদেশের নির্বাচনে নির্দলীয় সরকারপদ্ধতি অতিগুরুত্বপূর্ণ। ক্ষমতায় থেকে চেয়ার ধরা রখার জন্য ভোট প্রক্রিয়াকে নানাভাবে প্রভাবিত করার অভিযোগ নতুন নয়।

বিভিন্ন সময়ে গঠিত জোটের কর্মকাণ্ড বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, কখনো কোনো নির্দিষ্ট ইস্যুকে কেন্দ্র করে জোট গঠন হয়। নির্বাচন এলে জোট, সরকারের বিরোধিতা করতে সরকারবিরোধী জোট, সরকার গঠন করতে জোট। তবে ভোট আর সরকার রোধী রাজনীতিই জোটের প্রধান অনুষঙ্গ বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা।

স্বাধীনতা পরবর্তী দেশের সরকার গঠন হয়ে আসছে জনগণের ভোটপদ্বতিতে। বিগত দুই দশক রাজনৈতিক দলগুলো ভিন্ন-ভিন্ন জোট গঠন করে ভোট প্রক্রিয়া অংশ নেন।

জাতীয় সংসদের ৩৫০টি আসনের বিপরীতে ৩০০ জন সংসদ সদস্য সরাসরি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হন। ৫০টি আসন নারীদের জন্য সংরক্ষিত থাকে। সংসদের ৩০০টি আসনের মধ্যে অর্ধেকের বেশি অর্থাৎ ১৫১টি বা তার বেশি আসনে যে দল জয়ী হন তারাই সরকার গঠন করেন। জোটগতভাবেও ১৫০টির বেশি আসন নিয়ে সরকার গঠিত হতে পারে। নির্বাচিত প্রতিনিধিরা পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত হন।

স্বাধীনতা পরবর্তী গত পঞ্চাশ বছরে বাংলাদেশের সংসদ নির্বাচনের ইতিহাস বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়—১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সে সময় ৩০০ আসনে সরাসরি নির্বাচন হয়। আর সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংখ্যা ছিল ১৫টি।

ওই সংসদের প্রথম অধিবেশন বসেছিল ৭ এপ্রিল, তেজগাঁওয়ে অবস্থিত তখনকার জাতীয় সংসদ ভবনে। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ৩০০টি আসনের মধ্যে ২৯৩টিতে জয়লাভ করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সে সময় ঢাকা-১২ আসন থেকে বিজয়ী হয়েছিলেন।

প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আমলে দ্বিতীয় সংসদ নির্বাচন হয়েছিল ১৯৭৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি। সেবার সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংখ্যা ছিল ৩০টি। তবে ওই সংসদেই প্রথমবারের মতো প্রত্যক্ষ ভোটে একজন নারী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।

খুলনা-১৪ থেকে নির্বাচিত হন সৈয়দা রাজিয়া ফয়েজ। প্রথম অধিবেশন বসেছিল ২ এপ্রিল। নির্বাচনে মাত্র মাস ছয়েক আগে প্রতিষ্ঠিত দল বিএনপি ২০৭টি আর আওয়ামী লীগ ৫৪টি আসন পেয়েছিল।

তৃতীয় সংসদ নির্বাচন হয়েছিল ১৯৮৬ সালের ৭ মে। জাতীয় পার্টি ১৫৩টি, আওয়ামী লীগ ৭৬টি আর জামায়াতে ইসলামী ১০টি আসন পায়। কারচুপির অভিযোগে বিএনপি এই নির্বাচন বর্জন করেছিল।

চতুর্থ সংসদ নির্বাচন হয় ১৯৮৮ সালের ৩ মার্চ। নিরপেক্ষ ভোট না হওয়ার অভিযোগে আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি দল এই নির্বাচন বর্জন করেছিল। জাতীয় পার্টি আসন পেয়েছিল ২৫১টি। সংরক্ষিত মহিলা আসন সংক্রান্ত আইনের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় এই সংসদে মোট আসন সংখ্যা ছিল ৩০০টি।

পঞ্চম সংসদ নির্বাচন হয়েছিল ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদকে প্রধান উপদেষ্টা করে গঠিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিএনপি ১৪০টি, আওয়ামী লীগ ৮৮টি আর জাতীয় পার্টি ৩৫টিতে জয়লাভ করে।

এছাড়া নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের ভোটের মাধ্যমে পরোক্ষভাবে ৩০ জন মহিলাকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত করা হয়। অবশ্য তখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাটি সংবিধানের অংশ ছিল না। পরের সংসদে সেই বিল পাস হয়েছিল।

ষষ্ঠ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি। আওয়ামী লীগসহ অধিকাংশ বিরোধী রাজনৈতিক দল নির্বাচনটি বর্জন করেছিল। ফলে মোট ভোট গৃহীত হয়েছিল মাত্র ২১ শতাংশ। ৩০০টি আসনের মধ্যে বিএনপি ২৭৮টিতে জয়লাভ করেছিল। মাত্র চার কার্যদিবসে সংসদ বসার পর তা বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। এই সংসদে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিল পাস হয়।

সপ্তম সংসদ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ১৯৯৬ সালের ১২ জুন অনুষ্ঠিত প্রথম নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ১৪৬, বিএনপি ১১৬ ও জাতীয় পার্টি ৩২টি আসনে জয়লাভ করে। পরে শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী করে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ।

অষ্টম সংসদ নির্বাচন ভোটগ্রহণ হয় ২০০১ সালের ১ অক্টোবর। অষ্টম সংসদের মোট সদস্য সংখ্যা ছিল ৩০০টি। কারণ সংরক্ষিত মহিলা আসন সংক্রান্ত আইনের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় শুরুতে কোনো মহিলা আসন ছিল না। পরে আইন করে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসনের সংখ্যা ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৪৫ এ উন্নীত করা হয়। নির্বাচনে বিএনপি ১৯৩ আর আওয়ামী লীগ ৬২টি আসনে জয়ী হয়েছিল।

নবম সংসদ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার অধীনে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ নির্বাচন। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোট সরকার পেয়েছিল ২৬৩টি আসন। আর বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট পায় ৩৩টি আসন। ২০১১ সালে জাতীয় সংসদে মাত্র কয়েক ঘণ্টা আলোচনার পর বিভক্তি ভোটে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিলটি বাতিল করা হয়।

১৯৯৬ সালে তৎকালীন বিরোধী দল আওয়ামী লীগের আন্দোলনের মুখে নিরপেক্ষ নির্বাচনের যুক্তিতে সংবিধান সংশোধন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারপদ্ধতি প্রবর্তিত হয়েছিল। এই ব্যবস্থায় তিনটি নির্বাচনের পর, আওয়ামী লীগ সংসদে তাদের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার সুবিধে নিয়ে ব্যবস্থাটি বাতিল করে।

দশম সংসদ নির্বাচন ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচন বর্জন করেছিল বিএনপি।  ফলে ১৫৩ জন সাংসদ কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে ৩৯টি নিবন্ধিত দলের সব কয়টি দল অংশগ্রহণ করে। নির্বাচনে মোট প্রার্থীর সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৮৬১ জন। এর মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ১ হাজার ৭৩৩ জন এবং ১২৮ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনে অংশ নেয়।

৩০০ আসনের মধ্যে ১টি আসনের প্রার্থী মারা যাওয়ায় ২৯৯টি আসনে নির্বাচন হয়। ১টি আসনের ফলাফল স্থগিত থাকায় বাকি ২৯৮টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ নৌকা প্রতীকে এককভাবে ২৫৯টি আসনে জয়লাভ করে।

এছাড়াও জাতীয় পার্টি লাঙ্গল প্রতীকে ২০টি, বিএনপি ধানের শীষ প্রতীকে ৫টি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ৩টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) ২টি, বিকল্পধারা বাংলাদেশ ২টি এবং জাতীয় পার্টি (জেপি) ১টি, তরিকত ফেডারেশন ১টি, গণফোরাম ২টি আসনে জয়লাভ করে। অন্যদিকে, ৩টি আসনে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।

এবার জাতীয় সরকারের অধীনে ২০২৩ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দাবি জোড়ালো হচ্ছে। জাতীয় সরকারের ফর্মুলাটি আলোচনায় আসে মূলত ওয়ান-ইলেভেনের সময়। এরপর ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগেও ফর্মুলাটি আলোচিত হয়। যদিও দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন দলীয় সরকারের অধীনে হওয়ায় তখন এ আলোচনা ছিল অনেকটা ক্ষীণ।

এরপর গত এক বছর ধরে ড. কামাল হোসেন, আ স ম আব্দুর রব, অলি আহমদ, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, মাহমুদুর রহমান মান্না, সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, জোনায়েদ সাকিসহ তরুণ কয়েকজন রাজনীতিক বিভিন্ন সভা-সেমিনারে ‘জাতীয় সরকার’ পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করছেন। গত শনিবার (৮ জানুয়ারি) জাতীয় সরকারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি দিয়েছে আ স ম রবের নেতৃত্বাধীন জেএসডি।

রাজনৈতিক দলের নেতার মনে করেন, আগামী নির্বাচন দলীয় সরকারের অধীনে করার চেষ্টা হলেও তাতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আসবে না। পাশাপাশি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আন্তর্জাতিক শক্তিগুলো সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পক্ষে শক্ত অবস্থান নিলে ক্ষমতাসীন দলের ‘এক্সিট-পয়েন্ট’ বিবেচ্য বিষয় হয়ে দাঁড়াতে পারে।

সে ক্ষেত্রে সাংবিধানিকভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল হয়ে যাওয়ায় একমাত্র পথ, সমঝোতাভিত্তিক সরকার। যেটিকে তারা ‘জাতীয় সরকার’ বলে আখ্যায়িত করতে চাচ্ছেন।

বিএনপি দলীয় বর্তমান সংসদ সদস্য ও দলটির অন্যতম যুগ্ম মহাসচিব হারুনুর রশীদ বলেন, সরকার ১৫তম সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করে ক্ষমতা কুক্ষিগত করেছে।

২০১৪ সালে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করায় দেশে কোনো নির্বাচন হয়নি। ১৫৪টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি, বাকি সব আসনে নামমাত্র ভোট। ২০১৮ সালের দিনের ভোট আগের রাতেই ব্যালট বাক্স ভরে গেছে। নির্বাচনের নামে দেশে প্রহসন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

নির্বাচনব্যবস্থা, গণতন্ত্র, আইনের শাসন মারাত্মকভাবে সংকটাপন্ন। দেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি জনসাধারণের বড় ধরনের অনাস্থা তৈরি হয়েছে, যা দেশের জন্য মোটেই কল্যাণকর নয়। এখন গণতন্ত্র, আইনের শাসন, নির্বাচনব্যবস্থা সবগুলোই গভীর সংকটের মধ্যে পতিত।

বিভিন্ন সরকারের আমলে জেলজুলুমের অভিযোগ থাকলেও বর্তমানে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গুম, অপহরণ, দুর্নীতি, মাদকের ভয়াবহ বিস্তার এবং রাজনীতি ভয়াবহভাবে দুর্বৃত্তায়িত। এ অবস্থা থেকে মুক্তির জন্য জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

তিনি বলেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচন এবং বিভিন্ন স্থানীয় সরকার নির্বাচনের বর্তমান যে অবস্থা, তাতে নির্বাচনিব্যবস্থার প্রতি জনগণের আস্থা, বিশ্বাস নষ্ট হয়ে গেছে। এ নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান দলীয় সরকারের অধীনে আদৌ সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের কোনো সম্ভাবনা নেই।

দলীয় সরকারের অধীনে ২০২৩ সালের জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার প্রশ্নই আসে না। তাই আওয়ামী বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো এখন নির্দলীয় সরকার বা জাতীয় সরকারে অধীনে নির্বাচন করতে একাত্মতা রয়েছে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Link copied!