ঢাকা : বর্তমান সময়ে বিরাট কোহলি যে কোনও দলের জন্য মূর্তিমান আতঙ্কের নাম। টি-টোয়েন্টি সিরিজে বিশ্রামে ছিলেন তিনি। তবুও ভারতকে হারাতে পারেনি বাংলাদেশ।
দুদলের টেস্ট সিরিজে ফিরেছেন তিনি, দিচ্ছেন ভারতকে নেতৃত্ব। তাই ইন্দোরে প্রথম টেস্টে বাংলাদেশকে পড়তে হবে আরও কঠিন পরীক্ষার মুখে। এর পাশাপাশি অতীত পরিসংখ্যানও বাংলাদেশের নতুন টেস্ট দলনেতা মুমিনুল হকের ‘মাথাব্যথা’র কারণ হতে পারে।
এর যথেষ্ট কারণও রয়েছে। দুটি ডাবল সেঞ্চুরির মধুর স্মৃতি নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) ইন্দোরে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলতে নামবেন ভারত অধিনায়ক কোহলি।
বাংলাদেশের বিপক্ষে সাদা পোশাকে সবশেষ দেখায় ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন কোহলি। আর ইন্দোরের হোল্কার স্টেডিয়ামে এখন পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হওয়া একমাত্র টেস্টেও ডাবল সেঞ্চুরি করার স্বাদ নিয়েছিলেন সময়ের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যান।
২০১৬ সালের অক্টোবরে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হয় হোল্কার স্টেডিয়ামের।
স্বাগতিক ভারতের মুখোমুখি হয়েছিল নিউজিল্যান্ড। ঘরের মাঠে অনুমিতভাবেই কিউইদের নাস্তানাবুদ করেছিলেন কোহলিরা, জিতেছিলেন ৩২১ রানের বিশাল ব্যবধানে। ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে দলকে বিশাল সংগ্রহ পাইয়ে দিয়ে নিউজিল্যান্ডকে চেপে ধরার কাজটা শুরু করেছিলেন কোহলি-ই। ২০ চারে ৩৬৬ বলে ২১১ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলেছিলেন তিনি।
ভারতের মাটিতে এর আগে কেবল একটি টেস্টই খেলেছে বাংলাদেশ, ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে হায়দরাবাদে। পঞ্চম দিনে গড়ানো ম্যাচটি বাংলাদেশ হেরেছিল ২০৮ রানে। সে টেস্টেও প্রথম ইনিংসে ডাবল সেঞ্চুরি এসেছিল কোহলির ব্যাট থেকে। ওয়ানডে ঢঙে ব্যাটিং করে মাত্র ২৩৯ বলে ডাবল সেঞ্চুরি পূরণ করেছিলেন তিনি। আউট হওয়ার আগে ২৪ চারে ২৪৬ বলে ২০৪ রান করেছিলেন কোহলি।
দুবারই অবশ্য কোহলির ইনিংসের ইতি স্পিনাররা। নিউজিল্যান্ডের জিতান প্যাটেল ও বাংলাদেশের তাইজুল ইসলাম দুজনেই এলবিডব্লুয়ের ফাঁদে ফেলেছিলেন।
সোনালীনিউজ/আরআইবি/এএস
আপনার মতামত লিখুন :