ইংলিশদের বিপক্ষে পারলো না টাইগ্রেসরা

  • ক্রীড়া ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: অক্টোবর ৭, ২০২৫, ১০:৫২ পিএম
ইংলিশদের বিপক্ষে পারলো না টাইগ্রেসরা

গুয়াহাটিতে নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের হাতছানি এসেও শেষ পর্যন্ত পারল না বাংলাদেশ। ১৭৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১০৩ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়েছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু সেখান থেকে অধিনায়ক হিদার নাইটের দৃঢ়তায় ম্যাচ ঘুরিয়ে নেয় ইংলিশরা। সপ্তম উইকেটে চার্লি ডিনকে সঙ্গে নিয়ে ৭৯ রানের অপরাজিত জুটি গড়ে ৪ উইকেট হাতে রেখেই জয় ছিনিয়ে নেয় তারা।

হিদার নাইট খেলেছেন অনবদ্য ইনিংস—১১১ বলে ৭৯ রান, যেখানে ছিল ৮টি চার ও ১টি ছয়। ম্যাচসেরাও হয়েছেন তিনি। অপর প্রান্তে চার্লি ডিন ৫৬ বলে ২৭ রানে অপরাজিত ছিলেন। তাদের শান্ত অথচ কার্যকর ব্যাটিংয়ে ৪৬.১ ওভারে জয় পায় ইংল্যান্ড নারী দল।

এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে লড়াকু ১৭৮ রান তুলেছিল বাংলাদেশ। ইনিংসের ভিত গড়ে দেন ওপেনার সোবহানা মোস্তারি, যিনি ১০৮ বলে করেন ধৈর্যশীল ৬০ রান। শেষদিকে রাবেয়া খানের ঝড়ো ৪৩ রানে ভর করে ৪৯.৪ ওভারে অলআউট হয় দলটি।

বাংলাদেশের ব্যাটাররা যদিও ইনিংসের শুরুতেই চাপে পড়ে। ওপেনার রুবাইয়া হায়দার ৯ রানে আউট হন, অধিনায়ক নিগার সুলতানাও ব্যর্থ—মাত্র ২ বলে বিদায় নেন। একের পর এক উইকেট পড়তে থাকলেও সোবহানা মোস্তারি ও শারমিন আক্তার কিছুটা প্রতিরোধ গড়েন। কিন্তু ইংলিশ স্পিনারদের ঘূর্ণিজালে আবারও গুটিয়ে যায় লাল-সবুজ শিবির।

সোফি একলস্টোন ৩টি, লিনসে স্মিথ ২টি, আর চার্লি ডিন ও অ্যালিস ক্যাপসি নেন ২টি করে উইকেট। বিশেষ করে ক্যাপসির ৪৭তম ওভারের ডাবল স্ট্রাইকেই মূলত ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের লোয়ার অর্ডার।

বোলিংয়ে শুরুটা ছিল দুর্দান্ত। পেসার মারুফা আক্তার তার স্বভাবসুলভ আগ্রাসী বোলিংয়ে ইংলিশ টপ অর্ডারকে নাস্তানাবুদ করে দেন। ৫ ওভারে ২৮ রানে নেন ২ উইকেট। পরে লেগস্পিনার ফাহিমা খাতুন ১৬ রানে ৩ উইকেট তুলে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন দলকে।

তবে শেষ পর্যন্ত অভিজ্ঞতার জোরে স্থির থেকে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান নাইট ও ডিন। ম্যাচে ডিআরএসের কল্যাণে একবার বেঁচে যান নাইট—সেই জীবনই শেষ পর্যন্ত ইংল্যান্ডের জয়ের ভিত গড়ে দেয়।

একদিন আগেই পাকিস্তানকে হারিয়ে আত্মবিশ্বাসে ভরপুর ছিল নিগার সুলতানারা। কিন্তু ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেননি তারা। তবুও দলটির লড়াকু মনোভাব ও ফাহিমা-মারুফাদের বোলিং পারফরম্যান্স ভবিষ্যতের জন্য আশার বার্তা রাখে।

এম

Link copied!