দোষী প্রমাণিত হলে বহিষ্কার সানি: পাপন

  • ক্রীড়া প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৪, ২০১৭, ০৭:৩২ পিএম
দোষী প্রমাণিত হলে বহিষ্কার সানি: পাপন

ঢাকা: সাম্প্রতিক সময়ে নানা ঝামেলায় জড়িয়ে নিজেদের বিতর্কিত করছেন জাতীয় দলের একাধিক ক্রিকেটার। বিষয়টি মোটেও ভাল নজরে দেখছে না বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। দোষী প্রমাণিত হওয়ায় ইতিপর্বে অনেককে মোটা অঙ্কের জরিমানা করেছে দেশিয় ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থাটি। সর্বশেষ নারী কেলেঙ্কারীতে জাড়িয়ে কারাগারে আছেন স্পিনার আরাফাত সানি। এ বিষয়ে মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেছেন, আদালতে যদি সানি দোষী প্রমাণিত হয়, তাহলে তাকে বহিষ্কার করবে বিসিবি।

এদিন দুপুরে বেক্সিমকো কার্যালয়ে সাংবাদিকদের পাপন বলেন, ‘সানির বিষয়টি আমরা অবগত। এ ধরনের ঘটনা বিসিবি কখনও সমর্থন করবেও না। বরং সব সময় কঠোর অবস্থানে থেকেছে বিসিবি, প্রয়োজনে ভবিষ্যেতে আরও কঠোর হবে।’ এ ধরনের ঘটনায় আগে আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে অনেককে (সাব্বির ও আল আমিন) শাস্তি দেওয়া হয়েছে। যদি কেউ আদালতে নারী কিংবা অন্য কারণে দোষী হয়, এ ধরনের ক্রিকেটার আমাদের দরকার নেই। দোষী হলে অবশ্যই তাকে আমরা নিষিদ্ধ করব।’

তিনি বলেন, গত দুই বছরে তিন ক্রিকেটার জেলে গেছে, তাদেরকেও সমর্থন করেনি বিসিবি। সানি যদি আদালতে দোষী প্রমাণিত হয়, অবশ্যই সে নিষিদ্ধ হবে। তবে তার আগে অবশ্যই বিষয়টি প্রমাণ হতে হবে। আগে আদালতে প্রমাণ হোক। একটা নিউজ দেখে তো আমরা নিষিদ্ধ করতে পারি না।’

গত দুই বছরে প্রায় একই কাণ্ড ঘটিয়ে জেল খেটেছেন পেসার রুবেল হোসেন ও শাহাদাত হোসেন রাজিব। ২০১৪ সালের শেষ দিকে অখ্যাত নায়িকা নাজনিন আক্তার হ্যাপির ধর্ষণ মামলায় জেলে যেতে হয়েছিল রুবেল হোসেনকে। যদিও পরে হ্যাপি ওই মামলা তুলে নেন। এরপর ২০১৫ সালের শেষ দিকে গৃহকর্মীকে নির্যাতন করে জেল খাটেন রাজিব। তাই ক্রিকেটারদের এসব ব্যাপার নিয়ে চিন্তিত বিসিবি।

বিসিবি প্রধান বলেন, ক্রিকেটারদের নৈতিক স্খলন নিয়ে আমরা চিন্তিত। তিনজন খেলোয়াড় যে জেলে গেছে, বিসিবি সেটা দেখেছে। যারা অন্যায় করেছে তারা শাস্তি পাবে। আগেও যে সমস্ত ঘটনা ঘটেছে, সে গুলোতে বিসিবি কিন্তু ছাড় দেয়নি। তাদের অনেক টাকা পর্যন্ত জরিমানা করেছে বিসিবি।’

উল্লেখ্য, গত ২২ জানুয়ারি তথ্য প্রযুক্তি আইনে দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার করা হয় জাতীয় দলের ক্রিকেটার আরাফাত সানিকে। আদালত ওই দিনই তার এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রবিবার দুপুরে তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম প্রণব কুমার হুই এর আদালতে উপস্থিত করে মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার এসআই মো. ইয়াহিয়া পাঁচ দিনের রিমান্ড চাইলে এ আদেশ দেন আদালত। মঙ্গলবার তার জামিন আবেদন নাকচ করে দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকা মহানগর হাকিম মো. জাকির হোসেন টিপু মঙ্গলবার এই নির্দেশ দেন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই

Link copied!