বিপিএল প্রতিভা বিকাশের মঞ্চ নয়!

  • ক্রীড়া প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মে ২৫, ২০১৭, ০৪:৫৪ পিএম
বিপিএল প্রতিভা বিকাশের মঞ্চ নয়!

ঢাকা: ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) আদলে ২০১২ সালে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। ইতিমধ্যেই চারটি আসর সফল ভাবে শেষ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের এই সর্বোচ্চ টুর্নামেন্ট থেকেই উঠে এসেছেন আবু হায়দার রনি, এনামুল হক বিজয়, সাব্বির রহমান ও তাসকিন আহমেদের মতো তারকারা। এটি একটি প্রতিভা বিকাশের মঞ্চ। কিন্তু সেটি মনে করে না বিপিএল এর গভর্নিং কাউন্সিল।

সদ্য সমাপ্ত আইপিএল থেকে একগাদা তরুণ প্রতিভা খুঁজে বের করেছে ভারত। যাঁরা এখন প্রস্তুনি নিচ্ছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার জন্য। অথচ বাংলাদেশে যে পরিমাণ প্রতিভা আছে, তাঁদের জন্য বিপিএলকে সেই মঞ্চ ভাবছে না এর গভর্নিং কাউন্সিল। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সচিব ইসমাইল হায়দারের ভাষ্য, ভারতে যে পরিমাণ প্রতিভা আছে, বাংলাদেশে এখনো সেটা খুঁজে পাইনি।

আগামী ৪ নভেম্বর থেকে মাঠে গড়াচ্ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) পঞ্চম আসর। এবার একটি দল বাড়ছে। পাশাপাশি বাড়ছে বিদেশি খেলোয়াড়ের কোঠাও। অথচ স্থানীয় ক্রিকেটারদের গুরুত্ব বাড়াতে অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ এবং ভারতের আইপিএল বিদেশি খেলোয়াড়ের কোঠা সীমা নির্ধারণ করে দেয়। চারজনের বেশি বিদেশি থাকতে পারে না আইপিএলের কোনো ম্যাচের একাদশে। কিন্তু বিপিএলে উল্টো নিয়ম। এখানে কমপক্ষে চারজন বিদেশি খেলোয়াড় রাখতে হয়। কারণ ম্যাচের আকর্ষণ বাড়ানো। এবার নাকি এই সংখ্যা আরো বাড়ছে।

কেন বাড়ছে এমন প্রশ্নে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সচিব বলেন, ‘আমাদের কাছে চার-পাঁচটা ফ্র্যাঞ্চাইজি আবেদন করেছে। যদি একটা ফ্র্যাঞ্চাইজি দল এবার বাড়ে, ওই পরিমাণ স্থানীয় প্রতিভা আমাদের নেই, যারা এত বড় টুর্নামেন্টে নিজেদের মেলে ধরতে প্রস্তুত। আমরা যদি আটটা দল করি, তাহলে আরও সাত-আটজন স্থানীয় খেলোয়াড়ের সরবরাহ থাকতে হবে।’

ইসমাইল হায়দার বলেন, ‘বিপিএল পুরোপুরি বাণিজ্যিক উদ্যোগ। দর্শক-সমর্থক টানতে যে পরিমাণ উপাদান থাকতে হয়...আনকোরা অনূর্ধ্ব–১৯ দলের একজন ক্রিকেটারকে খেলিয়ে তো লাভ নেই। এত বড় টুর্নামেন্টে চাপ নিতে পারবে না ওর। অনেক ছেলে এভাবে খেলে ভালো করতে পারেনি। পরে তাদের ঘরোয়া অন্য টুর্নামেন্টগুলোয় সুযোগও হয়নি।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/ডেজআই

Link copied!