সাকিব কেন ম্যাচ সেরা হন না?

  • ক্রীড়া ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মে ৮, ২০১৮, ১১:১৭ এএম
সাকিব কেন ম্যাচ সেরা হন না?

ঢাকা: নাটকীয় ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কাছে ৫ রানে হেরে চলতি আইপিএল থেকে প্রায় বিদায়ের পথে বিরাট কোহলির রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। নাটকীয় কিছু না ঘটলে দুর্দান্ত ব্যাটিং লাইনআপ সমৃদ্ধ দল বেঙ্গালুরুকে বিদায়ই নিতে হবে।

প্রথমে ব্যাট করে হায়দরাবাদ গুটিয়ে যায় ১৪৬ রানে। কিন্তু সেই রানও তুলতে পারেননি বিরাট কোহলিরা। হায়দরাবাদের দুরন্ত বোলিংয়ের সামনে বেঙ্গালুরুকে থামতে হয়েছে ছয় উইকেটে ১৪১ রান।

এই ম্যাচে হারার ফলে ১০ ম্যাচে বেঙ্গালুরুর পয়েন্ট দাঁড়াল ৬। শেষ চারটি ম্যাচে জিতলেও কোহলিরা ১৪ পয়েন্টের বেশি তুলতে পারবেন না। ফলে সরকারি ভাবে না হলেও বেঙ্গালুরুর কার্যত বিদায় ঘটে গেল, বলেই দেওয়া যায়। অন্যদিকে, হায়দরাবাদ ১০ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট তুলে প্লে-অফ প্রায় নিশ্চিত করে ফেলল।

চলতি আইপিএলে অবিশ্বাস্য বল করছেন হায়দরাবাদের বোলাররা। চার বার কেন কেন উইলিয়ামসনের দল প্রথমে ব্যাট করেছে এবং চার বারই জিতেছে। তার চেয়েও বড় কথা হলো, প্রতিটা ম্যাচে কম রান তুললেও বোলাররা জিতিয়ে দিয়েছেন। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ১১৮, কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে ১৩২, রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে ১৫১ এবং বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে ১৪৬ তুলে জিতেছে হায়দরাবাদ।

তাদের দুই স্পিনার- রশিদ খান, সাকিব আল হাসান এবং তিন পেসার— ভুবনেশ্বর কুমার, সিদ্ধার্থ কৌল এবং সন্দীপ শর্মার আক্রমণের সামনে আটকে যাচ্ছেন বিপক্ষ ব্যাটসম্যানরা। কোহলিরাও ব্যতিক্রম হলেন না। সাকিব ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৩৬ রান দিয়ে তুলে নিলেন দুই উইকেট। বাকিরা একটি করে। শেষ ওভারে বেঙ্গালুরুর দরকার ছিল ১২ রান। কিন্তু ভুবনেশ্বরের নিখুঁত বোলিংয়ের সামনে ৬ রানের বেশি তুলতে পারেননি মনদীপ সিংরা।

হায়দরাবাদের পিচ এমনিতে বেশ মন্থর। ব্যাটসম্যানদের রান তুলতে সমস্যা হচ্ছে। তার মধ্যে উইলিয়ামসন করলেন ৩৯ বলে ৫৬ রান। ব্যাট করতে নেমে কোহলিও ভাল শুরু করেছিলেন। কিন্তু ৩০ বলে ৩৯ করে সাকিবের বলে ইউসুফ পাঠানের ধরা দুর্দান্ত ক্যাচে ফিরে যান বেঙ্গালুরু অধিনায়ক। এর পরেই রশিদের বলে বোল্ড হয়ে যান এ বি ডিভিলিয়ার্স। মুলত ম্যাচ ওখান থেকেই ঘুরে যায়।
 
কোহালি টস জিতে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন হায়দরাবাদকে। শুরু থেকে চাপে পড়ে যান হায়দরাবাদের ব্যাটসম্যানরাও। দুই ওপেনার আলেক্স হেলস (৫) এবং শিখর ধাওয়ান (১৩) অল্প রানে আউট হয়ে যান। বরাবরের মতো হায়দরাবাদ ইনিংসকে টানেন সেই অধিনায়ক উইলিয়ামসন। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন সাকিব ৩২ বলে ৩৫ করে।

 কিন্তু বলে ব্যাটে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করলেও বাংলাদেশী অলরাউন্ডার কিন্তু ম্যাচ সেরার পুরস্কার পাননি। সেটি পেয়েছেন উইলিয়ামসন। অথচ পার্থিব প্যাটেলকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে প্রথম ব্রেক থ্রো দিয়েছিলেন সাকিবই। এরপর অধিনায়ক কোহলিকে তিনি ফেরান। দুটি মহামূল্যবান উইকেট এবং ব্যাট হাতে গুরুত্বপূর্ণ ৩৫ রান করার পরও সাকিব কেন ম্যান অব দ্য ম্যাচ হলেন না সেটি নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। শুধু এবারই নয়, চলতি আইপিএলে এর আগেও একবার দুরন্ত অলরাউন্ড পারফরম্যান্স প্রদর্শন করেও ম্যাচ সেরার পুরস্কার হাতে তুলতে পারেননি সাকিব।

এদিনব্রেন্ডন ম্যাককালামকে বসিয়ে বেঙ্গালুরু দলে নেয় মঈন আলীকে। দলে আসেন মনন ভোরাও। অফস্পিনার মইনকে দিয়ে বোলিং শুরু করেছিলেন কোহলি। মঈন উইকেট না পেলেও তিন ওভারে ১৯ রানের বেশি দেননি। বেঙ্গালুরুর বোলারদের মধ্যে সেরা মোহাম্মদ সিরাজ। চার ওভারে ২৫ রান দিয়ে তিনি নেন তিন উইকেট। টিম সাউদিও তিন উইকেট নেন ৩০ রান দিয়ে।


সোনালীনিউজ/আরআইবি/আকন

Link copied!