বাফুফে সদস্য কিরণের ঠাই হলো কারাগারে

  • ক্রীড়া প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মার্চ ১৬, ২০১৯, ০৬:৫৫ পিএম
বাফুফে সদস্য কিরণের ঠাই হলো কারাগারে

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে কটূক্তির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নারী ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। শনিবার (১৬ মার্চ) ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সুফিয়ান মো. নোমান এই নারী ফুটবল সংগঠকের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।

এদিন দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ফিফা ও এএফসির কাউন্সিল মাহফুজা আক্তার কিরণকে। বিকালেই তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির কর হয়। পুলিশ কিরণকে কারাগারে রাখার আবেদন করলেও জামিনের আবেদন করেন আসামির আইনজীবী। উভয় পক্ষের আবেদনের উপর শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তির অভিযোগে কিরণের বিরুদ্ধে গত মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনছারীর আদালতে মামলাটি দায়ের করেন লে. শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের স্থায়ী কমিটির সদস্য আবু হাসান চৌধুরী প্রিন্স। পরের দিন বুধবার মাহফুজা আক্তার কিরনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। গ্রেপ্তারি সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২ এপ্রিল দিন ধার্য করা হয়।

এদিকে কিরণের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। এরইমধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিন সদস্যের এই কমিটির প্রধান করা হয়েছে বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি সালাম মুর্শেদীকে। কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন বাফুফের সহ-সভাপতি কাজী নাবিল আহমেদ ও সদস্য আব্দুর রহিম। মাহফুজা আক্তার কিরনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পর্যালোচনা করে তদন্ত কমিটি বাফুফের কাছে রিপোর্ট জমা দেবে।

মামলায় বাদী উল্লেখ্য করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন ক্রীড়ামোদি। ওনার সম্পর্কে গত ০৮ মার্চ তারিখে বেলা ৪.৩৫ মিনিটের সময় রাজধানীর মতিঝিলস্থ বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে মানহানিকর বক্তব্য প্রদান করেন মাহফুজা আক্তার কিরণ। তিনি বলেন, পিএম হিসেবে সব খেলাই তার কাছে সমান। সেখানে কেন দু’চোখে দেখবে? মেয়েরা ব্যাক টু ব্যাক চ্যাম্পিয়ন। গিফট তো পরের কথা, অভিনন্দন তো দিতে পারে, মিডিয়ায় কি কোনো অভিনন্দন জানাইছে? বিএফএফের টাকা কেন প্রধানমন্ত্রীর হাত দিয়ে দেওয়া হবে? প্রধানমন্ত্রীর সাথে বিসিবির  অনেক স্বার্থ আছে। বিসিবি সরকারের অনেক ফ্যাসিলিটিজ নেয়। চুন থেকে পান খসলেই প্লট পেয়ে যায়, গাড়ি পেয়ে যায়। বিএফএফ সরকারের কাছে থেকে কোন ফ্যাসিলিটিজ নেয় না।’

কিরণের এমন বক্তব্য বেসরকারি টেলিভিশন, পত্রিকা ও অনলাইনে প্রকাশিত হয়। তার এমন বক্তব্যে বাদীর ৫০ কোটি টাকার মানহানি হয়েছে মর্মে আদালতে মামলাটি করা হয়।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই

Link copied!