ঢাকা: দাবি অনুযায়ী যৌতুক দিতে পারেনি নববধূর পরিবার। তার শাস্তি হিসেবে বিয়ের রাতেই মেয়েটিকে ধর্ষণ করে স্বামী আর দেবর মিলে। মর্মান্তিক এ ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশের মুজাফ্ফরনগরে।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, চলতি মাসের গোড়ায় মুজাফ্ফরনগরের এক পরিবারের বিয়ে হয় ছাব্বিশ বছরের তরুণীর। বিয়ে ঠিক হওয়ার সময়েই পণের দাবিতে দুই পরিবারের মধ্যে ঝামেলা হয়। পরে বোঝাপড়ার মাধ্যমে বিয়েতে সম্মত হয় দুই পরিবার। কিন্তু বাসর রাতেই মর্মান্তিক পরিস্থিতির শিকার হন ওই তরুণী। স্বামী এবং দেবর মিলে তাকে একসঙ্গে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।
তরুণীর পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ওই রাতে মদ্যপ অবস্থাকে মেয়েটিকে দুজনে মিলে ধর্ষণ করে। এরপর মেয়েটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে, ঘরের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে তারা বেরিয়ে যায়। সারারাত মেয়েটি ওইভাবেই পড়ে থাকে। সকালে দরজা খুলে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ওই তরুণী। মেডিকেল পরীক্ষায় তার ওপর অকথ্য অত্যাচারের প্রমাণ মিলেছে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।
পরীক্ষা করা হয়েছে অভিযুক্ত স্বামী এবং দেবরেরও। পরীক্ষায় ওই রাতে তাদের মাতাল থাকারও প্রমাণ মিলেছে।
তরুণীর ভাই জানিয়েছেন, ওদের পরিবারের লোভ, চাহিদা এসব খুব বেশি। ওরা বারবার পণের জন্য চাপ দিচ্ছিল। কিন্তু এমন ঘটনা ঘটে যাবে, এতটা কল্পনা করতে পারিনি।
এ ঘটনায় ওই তরুণীর স্বামী ও দেবরের বিরুদ্ধে যৌতুক ও ধর্ষণসহ একাধিক ধারায় মামলা করা হয়েছে।
সোনালীনিউজ/এমএইচএম
আপনার মতামত লিখুন :