• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বান্দরবানে পাহাড় ধস, ডিসির সংবাদ সম্মেলন


বান্দরবান প্রতিনিধি জুন ২০, ২০১৭, ০৩:২০ পিএম
বান্দরবানে পাহাড় ধস, ডিসির সংবাদ সম্মেলন

বান্দরবান : বান্দরবানে গত ৩০শে মে মোরা এবং ১২ জুন অবিরাম বর্ষনের ফলে সৃষ্ট বন্যা ও পাহাড় ধস নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক।

মঙ্গলবার (২০ জুন) সকালে জেলা প্রশাসকের নিজ কক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক বলেন, মোরায় বান্দরবানের ৭টি উপজেলা ও ২টি পৌরসভায় আঘাত হানে। এতে নাইক্ষ্যংছড়ি, আলিকদম ও লামা এ ৩টি উপজেলা বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়।

এছাড়া অন্যান্যে উপজেলায়ও কমবেশি ক্ষতি হয়েছে। মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে মৌসুমী বায়ু প্রবাহের ফলে ব্যপক বৃষ্টিপাতের ফলে বান্দরবানের সকল নদীর পানি বিপদ সীমা অতিক্রম করে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত ও পাহাড় ধস হয়েছে। পাহাড় ধসে মাটি চাপা পড়ে এ পর্যন্ত ৯জনের প্রাণহানি ও আরো  ৮জন আহত হয়েছে। এছাড়া ৭টি গবাদি পশুরও মৃত্যু হয়েছে মাটি চাপা পড়ে। এসময় পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিতে বসবাসকারী ২হাজার ৫শ ক্ষতিগ্রস্থদের আশ্রয় দেয়া হয়েছে ১২টি আশ্রয়কেন্দ্রে ।

এছাড়া আরো ৪থেকে ৫হাজার লোকজনকে বিভিন্ন আত্মীয়স্বজনের বাসায় পাঠিয়ে দেয়া  হয়েছে। বর্তমানে অবস্থার উন্নতি হওয়ায় লোকজন সরে গেছে। ইতিমধ্যে ৭টি আশ্রয়কেন্দ্র বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এখনো ৫টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা রয়েছে। তবে আবহাওয়া ভাল থাকলে দু’একদিনের মধ্যে ৫টি আশ্রয়কেন্দ্রও বন্ধ করে দেয়া হবে।

জেলা প্রশাসক আরো বলেন, মৃত ব্যক্তিদের প্রতি পরিবারে ২০হাজার ও আহত পরিবারকে ৫হাজার করে নগদ টাকা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া আশ্রিতদের মাঝে ২লক্ষ টাকার রান্না করা খাদ্য, ১শ ৬ মে:টন জি আর চাল ও নগদ ৩লক্ষ ৩০হাজার টাকা কেন্দ্রীয় ভাবে বিতরণ করা হয়েছে। আরো ৫৯হাজার ৮২পরিবারকে ১০ কেজি করে মোট ৫৯০.৮২০মেঃ:টন চাল আগামী ২৩শে জুন থেকে বিতরণ করা হবে বলেও তিনি সংবাদ সম্মেলনে জানান। এছাড়া ৩লক্ষ টাকা জি ক্যাশ ও ৫০ মে:টন জি আর চাল মজুদ আছে বলেও তিনি জানান।

সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, পাহাড় ধস বিভিন্ন কারনে হতে পারে। অনেক সময় পাহাড়ের নিচে মাটি সরে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়। অধিক বৃষ্টিপাতে উপড়ের অংশের মাটি নরম হয়ে ধসে পড়ে। এছাড়া অপরিকল্পিভাবে পাহাড় কেটে ঘর নির্মাণের ফলেও পাহাড় ধস হয়। তিনি বলেন, এখানকার এত মানুষ পাহাড়ে বাসা না বাধঁলে কোথায় থাকবে। আমরা পাহাড়ে বাড়ি করতে কাউকে বাঁধা দেইনা। শুধু বলি পাহাড় ধসের সম্ভাবনা থাকলে পাহাড় থেকে একটু দূরে সরিয়ে ঘর নির্মাণ করার জন্য।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দিদারে আলম মোঃ মাকসুদ চৌধুরী, জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা মোঃ আলী আকবরসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিল।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School

আরও পড়ুন