হাদিকে গুলির ঘটনায় বেরিয়ে এলো আঁতকে ওঠার মতো তথ্য

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৬, ২০২৫, ০৪:৫৯ পিএম
হাদিকে গুলির ঘটনায় বেরিয়ে এলো আঁতকে ওঠার মতো তথ্য

ফাইল ছবি

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে লক্ষ্য করে গুলি করার ঘটনা কয়েক মাসের পরিকল্পিত হামলা বলে ধারণা করছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, হামলার আগে বৃহস্পতিবার রাতে সাভারের আশুলিয়ার একটি রিসোর্টে হামলাকারীদের জন্য মোজমাস্তি ও থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল। সেখানে হামলাকারীদের সঙ্গে দুজন নারীও ছিলেন। শুক্রবার সকাল ৮টায় তারা রিসোর্ট থেকে বের হয়ে ঢাকায় আসেন এবং জুমার নামাজের পর হাদিকে অনুসরণ করে গুলি চালিয়ে পালিয়ে যান।

ঘটনার পর রাজধানীর পল্টন থানায় মামলা দায়ের করা হয়। ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল জাবের বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে রাহুলসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে। মামলা তদন্তের দায়িত্ব পায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

ডিবি সূত্র জানায়, হত্যাচেষ্টার ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে শুটার ফয়সাল করিমের স্ত্রী সামিয়া, তার শ্যালক শিপু ও রিসোর্টে থাকা বান্ধবী মারিয়া পাঁচ দিনের রিমান্ডে রয়েছে। এর আগে পুলিশ মোটরসাইকেলের মালিক আবদুল হান্নানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেয়।

অভিযুক্ত দুই হামলাকারী ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে রাহুল ও আলমগীরকে সীমান্ত পার করতে সহায়তার সন্দেহে আরও চারজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে শেরপুরের বারোমারি সীমান্ত থেকে ফিলিপের শ্বশুর বেঞ্জামিন চিড়ান এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধু সীশলকে আটক করেছেন বিজিবি। এছাড়া ডেলটা চিড়ান, ইয়ারসন রংডি ও লুইস লেংমিঞ্জাকে পুলিশে হস্তান্তর করা হয়েছে।

শেরপুরের নালিতাবাড়ী সীমান্তের পাচার চক্রের আরও সদস্য সিবিয়ন দিও ও সঞ্জয় চিসিমকে আটক করা হয়েছে। ঢাকার সাভার থেকে হাদির ঘনিষ্ঠ সহযোগী কবিরকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক এম জেড এম ইন্তেখাব চৌধুরী গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অন্যদিকে, উন্নত চিকিৎসার জন্য গতকাল শরিফ ওসমান হাদিকে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে সিঙ্গাপুর নেওয়া হয়। বাংলাদেশ সময় বিকাল ৫টা ৫০ মিনিটে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স সেলেতার বিমানবন্দরে অবতরণ করে। পরে তাকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

হাদির বড় ভাই ওমর ফারুক জানিয়েছেন, চিকিৎসকরা তার শ্বাস-প্রশ্বাস ও হার্টবিট স্বাভাবিক এবং হৃদপিণ্ডের কার্যক্ষমতা আগের তুলনায় উন্নত হওয়া নিশ্চিত করেছেন। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল।

ঘটনার তদন্তে এখনো অভিযান চলমান রয়েছে। পুলিশ ও গোয়েন্দা সূত্র বলছে, হামলার নেপথ্য সহযোগী ও পরিকল্পনাকারীদের শনাক্তকরণে কাজ চলছেই। হত্যাচেষ্টার পেছনে কারা মূলভাবে দায়ী, তা চূড়ান্তভাবে বের হওয়ার অপেক্ষা রয়েছে।

এসএইচ 

Link copied!