ছবি : সংগৃহীত
ঢাকা: মাথায় গুলিবিদ্ধ হওয়ার সাত দিনে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন ওসমান হাদিকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
হাদি বলেছিলেন, সাধারণ একটা কফিনে হাসিমুখে আমি আমার আল্লাহর কাছে হাজির হবো। মৃত্যুর পর সেই ওসমান হাদি লাল-সবুজের কফিনে নিথর দেহে বাংলাদেশে ফিরছেন।
লাশবন্দি কফিন নিয়ে শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ওসমান হাদির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট করা হয়। এতে লেখা হয়, ‘হারাম খাইয়া আমি এত মোটাতাজা হই নাই, যাতে আমার স্পেশাল কফিন লাগবে! খুবই সাধারণ একটা কফিনে হালাল রক্তের হাসিমুখে আমি আমার আল্লাহর কাছে হাজির হবো।’
যদিও গুলিবিদ্ধ হওয়ার আগেই এমন মন্তব্য করেছিলেন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম নায়ক ওসমান হাদি।
পোস্টের আড়াই ঘণ্টার মধ্যেই ৩ লাখ ৪৫ হাজার রিঅ্যাক্ট, ১৪ হাজার কমেন্টস এবং ২৭ হাজার শেয়ার হয়েছে। নেটিজেনরা তাদের টাইমলাইনে পোস্টটি শেয়ার করছেন।
জানা গেছে, স্থানীয় সময় বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে হাদির লাশবাহী ফ্লাইটটি সিঙ্গাপুর ছাড়বে। ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সন্ধ্যা ৬টা ৫ মিনিটে অবতরণের কথা রয়েছে। শনিবার জানাজা শেষে দাফন করা হবে।
ঢাকা-৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী প্রচার চালিয়েছেন ওসমান হাদি। জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট সড়কে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে দুর্বৃত্তরা রিকশায় থাকা ওসমান হাদিকে গুলি করে। ঢাকা-৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার জন্য প্রচারণা চালাচ্ছিলেন তিনি।
মোটরসাইকেলে করে এসে দুজন তাকে খুব কাছ থেকে গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জানা যায়, গুলি ওসমান হাদির মাথার ডান দিক থেকে ঢুকে বাম পাশ দিয়ে বের হয়ে গেছে।
এই অবস্থার মধ্যেই পরিবারের ইচ্ছায় তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছিল। সবশেষ ১৫ ডিসেম্বর দুপুরে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয় ওসমান হাদিকে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
পিএস
আপনার মতামত লিখুন :