হিলি স্থলবন্দরে কমেছে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম

দিনাজপুর: চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেশি হওয়ায় হিলি স্থলবন্দরে কমেছে পেঁয়াজের দাম। তিন দিনের ব্যবধানে দাম কমেছে কেজিতে ৫ থেকে ৬ টাকা পর্যন্ত। প্রতিদিন হিলি বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে গড়ে ৪০ থেকে ৪৫ ভারতীয় ট্রাকে। এদিকে পেঁয়াজের দাম উঠানামা করাই বিপাকে পাইকাররা। অপরদিকে দূর্গা পূজা উপলক্ষে আমদানি বাড়ায় ও ক্রেতা সংকটের কারনে পন্যটির দাম কমেছে বলে জানান আমদানিকারকরা।

আমদানিকারক শাহা জামাল মল্লিক বলেন, আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে লম্বা ছুটির কারনে বন্ধ থাকবে এই বন্দরটি। তাই আমরা হিলি  স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানির পরিমানটি বেড়েছে। তবে চাহিদার তুলনায় আমদানি বাড়ায় পেঁয়াজের দামটা কমেছে। প্রতি কেজি পেয়াজের দাম কমেছে ৫ থেকে ৬ টাকা। যে ইন্দুর জাতের পেঁয়াজ গত শনিবারে বিক্রি হয়েছিল ৫৬ থেকে ৫৭ টাকা কেজি দরে সেই পেঁয়াজ আজকে মঙ্গলবার বিক্রি হয়েছে ৪৯ থেকে ৫১ টাকায়। নাসিক জাতের পেঁয়াজ যেটি বিক্রি হয়েছিল ৬০ থেকে ৬২ টাকায়,সেই পেঁয়াজ আজকে বিক্রি হয়েছে ৫৬ টাকা কেজি দরে।

বন্দরের কয়েকজন পাইকার বলেন,  বর্তমানে প্রতিদিনই হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাড়ছে পেঁয়াজের আমদানি। তবে আমদানি বাড়লেও কাঙ্খিত পাইকারপত্রের দেখা নেই বন্দরে। এতে কমেছে দাম।সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি টন পেঁয়াজের দাম কমেছে ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকা। তারপরও আমরা পেঁয়াজ কিনতে ভয় পাচ্ছি আমরা। কারন দাম যেভাবে উঠানামা করছে তাতে আমরা বিপাকে পড়ছি।

পেঁয়াজ পাইকার পলাশ বলেন, আমি দুইদিন আগে পেঁয়াজ কিনছি ৫৭ টাকা কেজি, তার পরের দিন ৫৪ টাকা কেজি। এতে আমার কেজিতে ৩ টাকা করে মোট ৪৫ হাজার টাকা লোকশান হয়েছে। তাই আমি বর্তমান পেঁয়াজ কিনা বন্ধ রাখছি।

হিলি পানামাপোর্ট জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন প্রতাব মল্লিক বলেন, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি অব্যহৃত রয়েছে। তবে আগের থেকে পেঁয়াজ আমদানিটা বেড়েছে। যেখানে আগে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি হতো দিনে ২৫ গাড়ী, সেখানে এখন আমদানি হচ্ছে গড়ে ৪৫ গাড়ি। পেঁয়াজ পচনশীল দ্রব্য তাই এটি যাতে আমদানিকারক দ্রুত বাজারজাত করতে পারেন সেইজন্য ছাড়করন করা হয়ে থাকে। 

হিলি স্থলবন্দরের তথ্য মতে, চলতি সপ্তাহের ৪ দিনে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে ভারতীয় ১৭২ ট্রাকে ৫ হাজার ২১৪ মেট্রিক টন।

সোনালীনিউজ/এসআই/এসআই