• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বিনিয়োগকারীদের সহজ শর্তে ঋণ সুবিধা প্রয়োজন: আব্দুর রাজ্জাক


আবদুল হাকিম মে ২৮, ২০২৩, ০১:৪৩ পিএম
বিনিয়োগকারীদের সহজ শর্তে ঋণ সুবিধা প্রয়োজন: আব্দুর রাজ্জাক

ঢাকা: প্রস্তাবিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে সরকারের কাছে বিশেষ সুবিধা চায় বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ। 

সরকার যাতে আইসিবিকে বরাদ্দের মাধ্যমে মার্চেন্ট এবং ব্রোকারদেও কাছ থেকে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৫ শতাংশ সুদে অর্থাৎ সহজ শর্তে ঋণ দিয়ে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ চায়। এখন এ সমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলো মার্জিন ঋণ দিয়ে ১৪-১৭ শতাংশ সুদ নিয়ে থাকে যা দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগে বিমুখ করছে।

সম্প্রতি বাজেট ভাবনা নিয়ে সোনালী নিউজের সঙ্গে একান্ত আলাপকালে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক কাজী আব্দুর রাজ্জাক এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিগত দিনের বাজেট পুরোপুরি পুঁজিবাজার বান্ধব হয়নি। পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও গতিশীলতা আনয়নের লক্ষ্যে বিনিয়োগকারীরা যা যা প্রত্যাশা করে তার প্রতিফলন বিগত দিনের মতো না ঘটলে। আমরা যেই সুন্দর বাজার প্রত্যাশা করি তা হয়তো পাবো না। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির কর হার ১৫ শতাংশ করা এবং লভ্যাংশের উপর থেকে দ্বৈত কর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার এখন সময়ের দাবি।

কাজী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, অপ্রদর্শিত অর্থ ১০ শতাংশ কর প্রদান করে বিনা শর্তে শুধুমাত্র পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ দিতে হবে। এতে পুঁজিবাজারে অর্থের যোগান বৃদ্ধি পাবে, পুঁজিবাজার গতিশীল হবে, বিদেশে অর্থ পাচার বন্ধ হবে, দেশীয় শিল্প উন্নয়ন বৃদ্ধি পাবে। এতে সরকারেরও প্রচুর পরিমানে রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে।

তিনি আরও বলেন, তালিকাভূক্ত কোম্পানীর করহার ১৫ শতাংশ করার দাবি। এতে বহু নতুন ভালো প্রতিষ্ঠান পুঁজিবাজারে তালিকাভূক্ত হতে আগ্রহী হবে। কোম্পানীগুলোর নীট মুনাফা বৃদ্ধি পাবে এবং লভ্যাংশ প্রদানের সক্ষমতা বাড়বে। যার ফলে পুঁজিবাজার গতিশীল হবে।

‘লভ্যাংশের উপর থেকে ট্যাক্স প্রত্যাহার করতে হবে। কোম্পানীগুলো লভ্যাংশের ঘোষণার পূর্বে সরকারকে অগ্রিম যে ট্যাক্স দিয়ে থাকে সেটাকে চূড়ান্ত ট্যাক্স হিসাবেগণ্য করতে হবে। ভাল লভ্যাংশ পাওয়ার আশায় তখন পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীরা দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগে আগ্রহী হবে। এতে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগ বাড়বে এবং পুঁজিবাজারের অস্থিরতা কমবে।’

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, পুঁজিবাজারে তালিকাভূক্ত অনেক কোম্পানীভালো মুনাফা করা স্বত্ত্বেও উপযুক্ত লভ্যাংশ প্রদানে গড়িমসি করে। কোম্পানীগুলোর নীট মুনাফার নূন্যতম ৫০ শতাংশ লভ্যাংশ হিসাবে শেয়ারহোল্ডারদের প্রদান করার ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি। উপযুক্ত পরিমাণ লভ্যাংশ পাওয়ার প্রত্যাশায় পুঁজিবাজারে দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ বাড়বে এবং পুঁজিবাজার স্থিতিশীল হবে।

সোনালীনিউজ/এআর

Wordbridge School
Link copied!