• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রোজায় প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আজ


নিজস্ব প্রতিবেদক মার্চ ২২, ২০২৩, ১২:১৩ পিএম
রোজায় প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আজ

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। ফাইল ছবি

ঢাকা : পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষ্যে স্কুল ও কলেজ বন্ধ থাকলেও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা থাকবে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত। তবে, প্রাথমিক বিদ্যালয় রমজান মাসে বন্ধ রাখার দাবি জানিয়েছেন প্রাথমিকের শিক্ষকরা।

বুধবার (২২ মার্চ) এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে জানা গেছে‌।

শিক্ষকরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ নানাভাবে এ দাবির পক্ষে সরব হয়েছেন‌। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অভিন্ন ছুটি নির্ধারণের দাবি জানাচ্ছে শিক্ষক সংগঠনগুলো। অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ছুটি সমন্বয় করতে সংগঠনের বাইরেও অনেক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে (ডিপিই) লিখিতভাবে আবেদন করেছে। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আলোচনা হলেও চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি মন্ত্রণালয়।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ শামসুদ্দীন গণশিক্ষা সচিব বরাবর লিখিত আবেদনে বলেন, রমজানে প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৪ দিন খোলা থাকবে। চৈত্রের প্রচণ্ড গরমে রোজা রেখে ক্লাস নেওয়া শিক্ষকদের খুবই কষ্টসাধ্য হবে। ৮০ ভাগ নারী শিক্ষক সেহরি প্রস্তুত করে সংসারের কাজ করে স্কুলে আসেন। সারাদিন স্কুল শেষে আবার ইফতারের সকল প্রস্তুতি ও সংসার পরিচালনা খুবই কষ্টকর হবে। তাছাড়া রমজান হচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জন্য পবিত্র কুরআন শিক্ষার উপযুক্ত মাস।

এ মাসে শুদ্ধ করে কুরআন শিখতে শিক্ষার্থী ১ থেকে ২৭ রমজান পর্যন্ত বিভিন্ন কুরআন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ভর্তি হয়। শিশুরা সাধারণত বিদ্যালয়ে না এসে কুরআন শিক্ষাকেন্দ্রে চলে যায়। তাই পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে ধর্মীয় অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো বন্ধ রাখবেন এটাই ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবকদের প্রত্যাশা।

আবেদনে আরও বলা হয়, রমজান মাসে সকালে গাড়ি, সিএনজি ও রিকশা কম চলাচল করায় দূরের বিদ্যালয়গামী শিক্ষকদের যানবাহন পেতে খুবই সমস্যা হবে। সকাল বেলা রাস্তাঘাট নিরিবিলি থাকার ফলে নানা ধরনের ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপ্রীতিকর ঘটনার শিকার হতে পারেন। এসব বিষয় বিবেচনা নিয়ে প্রথম রোজা থেকে স্কুল বন্ধ রাখার দাবি জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত বলেন, করোনায় পিছিয়ে পড়ায় শিখন ঘাটতি কাটাতে এবার রোজার ছুটি কমিয়ে আনা হয়েছে। শিক্ষকদের একাধিক সংগঠনের নেতাদের লিখিতভাবে রোজায় ছুটির দাবি জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে ছুটি সমন্বয় করার চেষ্টা করা হচ্ছে। মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে নির্দেশনা এলে আমরা প্রাথমিক বিদ্যালয় অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বয় করে ছুটি দেব।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!