• ঢাকা
  • সোমবার, ১৩ মে, ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১

নিজে দুর্নীতির ধারেকাছে যাইনি, ছাড়ও দেব না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী


নিজস্ব প্রতিবেদক জানুয়ারি ১৪, ২০২৪, ০৬:৩৭ পিএম
নিজে দুর্নীতির ধারেকাছে যাইনি, ছাড়ও দেব না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

নতুন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন। ফাইল ফটো

ঢাকা: স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতির কথা জানেন উল্লেখ করে নতুন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন বলেছেন, তিনি নিজে কখনো দুর্নীতিতে জড়াননি। আর এই বিষয়ে তিনি ছাড়ও দেবেন না।

গত বৃহস্পতিবার মন্ত্রী হিসেবে শপথের পর দুই দিন সাপ্তাহিক ছুটি শেষে রোববার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে যোগ দেন খ্যাতনামা এই চিকিৎসক। সকালে সচিবালয় আসার পর মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিভিন্ন অধিদপ্তরের মহাসচিব, পরিচালক, বিভিন্ন হাসপাতালের পরিচালকসহ কর্মকর্তারা মন্ত্রীকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। মন্ত্রী সবার সঙ্গে পরিচিত হন।

এরপর সাংবাদিকদের সামন্ত লাল বলেন, স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতির কথা আমিও জানি। আমি চেষ্টা করব। এটুকু বলতে পারি, দুর্নীতির ব্যাপারে আমি জিরো টলারেন্স। আমি নিজেও কখনও দুর্নীতির ধারেকাছে যাইনি। এ ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলেছি। তিনি বলেছেন, ‘তুমি (কাজ) কর। যদি কোনো অসুবিধা হয় আমাকে টেলিফোন কর।’ আমি সেটাই করব।’

গত ৭ জানুয়ারির ভোটের তৃতীয় দিনে বুধবার নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের নামগুলো জানানো হয়। ২৫ জন মন্ত্রী ও ১১ জন প্রতিমন্ত্রীর ভিড়ে চমক ছিল সামন্ত লাল সেন নামটি।

তিনি বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারিতে দেশের পরিচিত মুখ। দেশে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটগুলোর সমন্বয়নের দায়িত্ব পালন করে আসছেন বেশ কয়েক বছর ধরে। এর আগে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়কও ছিলেন।

সংবিধান অনুযায়ী মন্ত্রিসভার সদস্যদের এক দশমাংশ সংসদের বাইরে থেকেও নিয়োগ করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। এদেরকে বলা হয় টেকনোক্র্যাট কোটা।

এবার যে ৩৬ জনকে সরকারে নেওয়া হয়েছে, তাদের মধ্যে টেকনোক্র্যাট কোটায় প্রধানমন্ত্রী বেছে নিয়েছেন দুইজনকে। এদের মধ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় আগের মতোই ইয়াফেস ওসমানকে দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় জন হলেন সামন্ত লাল সেন।

সামন্ত লাল সেন ১৯৪৯ সালের ২৪ নভেম্বর হবিগঞ্জের নাগুরা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৩ সালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন সামন্ত লাল সেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে সার্জারিতে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেন।

মোহাম্মদ শহীদুল্লাহর নেতৃত্বে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশের প্রথম বার্ন বিভাগ চালু হয়। সামন্ত লাল সেন এতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। দেশে পূর্ণাঙ্গ বার্ন ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠাতেও তার ভূমিকা আছে। তিনি বাংলাদেশ প্লাস্টিক সার্জন সোসাইটির সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।

চিকিৎসাসেবায় বিশেষ অবদানের জন্য ২০১৮ সালে সামন্ত লালকে সম্মানসূচক ফেলোশিপ দেয় বাংলা একাডেমি।

ওয়াইএ

Wordbridge School
Link copied!