• ঢাকা
  • সোমবার, ১৩ মে, ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

গাজার হাসপাতালে হওয়া হামলা নজিরবিহীন


আন্তর্জাতিক ডেস্ক অক্টোবর ১৮, ২০২৩, ০১:২৬ পিএম
গাজার হাসপাতালে হওয়া হামলা নজিরবিহীন

ঢাকা : ফিলিস্তিনের গাজা নগরীর আল-আহলি আল-আরাবি হাসপাতালে চালানো হামলা ‘নজিরবিহীন মাত্রার’ ছিল উল্লেখ করে এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ।

গাজার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) হাসপাতালটিতে ইসরায়েলের বিমান হামলায় অন্তত ৫০০ জন নিহত হয়েছেন।

গাজা শাসনকারী ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী ৭ অক্টোবর ভোরে এক আকস্মিক প্রাণঘাতী হামলায় ইসরায়েলকে হতবিহ্বল করে দেওয়ার পর ওই দিন সকাল থেকেই ভূমধ্যসাগরের তীরবর্তী ভূখণ্ডটিতে ভয়াবহ হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এরপর থেকে হাসপাতালে চালানো হামলাটি সবচেয়ে প্রাণঘাতী একক ঘটনা।  

ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর ও গাজায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি রিচার্ড পিপারকর্ন বলেছেন, মাত্রার দিক থেকে এই হামলা নজিরবিহীন। আমরা অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের স্বাস্থ্যসেবার ওপর ধারাবাহিক হামলা দেখছি।

পিপারকর্ন জানান, গাজার স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোর ওপর এ পর্যন্ত ৫১ বার হামলা চালানো হয়েছে আর তাতে ১৫ স্বাস্থ্যকর্মী নিহত ও ২৭ জন আহত হয়েছেন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের পরিচালক আহমেদ আল মান্ধারি জানান, আল-আহলি আল-আরাবি হাসপাতালে যখন হামলা চালানো হয় তখন সেখানে রোগী, স্বাস্থ্যকর্মীদের পাশাপাশি আশ্রয় নেওয়া বাস্তুচ্যুত লোকজনও ছিল।

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী গাজা ভূখণ্ডের উত্তরাঞ্চলের যে ২০টি হাসপাতাল থেকে লোকজনকে সরিয়ে নিতে বলেছে এটি তার একটি, বলেছেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, চলমান নিরাপত্তাহীনতা, অনেক রোগীর সঙ্কটজন অবস্থা, অ্যাম্বুলেন্স, কর্মী, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বিছানা সক্ষমতা এবং বাস্তুচ্যুতদের বিকল্প আশ্রয়ের ঘাটতির মধ্যে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার এই আদেশ পালন করা অসম্ভব ছিল।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি স্বাস্থ্য কর্মসূচীর নির্বাহী পরিচালক মাইক রায়ান বলেন, তাদের রোগীদের সেবাযত্ন করা অথবা নিজেদের প্রাণ নিয়ে পালিয়ে যাওয়া, গাজার স্বাস্থ্য কর্মীদের এই উভয়সংকটের মধ্যে ফেলে দেওয়া ‘অমানবিক’।

চিকিৎসক ও নার্সরা তাদের নিজেদের জীবনের চেয়েও রোগীদের প্রাধান্য দেওয়া বেছে নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।  

কোথায় স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলো আছে তা এই লড়াইয়ের সব পক্ষগুলোর কাছেই পুরোপুরি পরিষ্কার, বলেন রায়ান।

এটি পুরোপুরি পরিষ্কার যে স্বাস্থ্যসেবা কোনো লক্ষ্যস্থল নয়, এটি আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের বিধান। আর আমরা দেখছি, গত সপ্তাহজুড়ে এটি বারবার, বারবার এবং বারবার লঙ্ঘন করা হয়েছে। এটি বন্ধ করতে হবে। অবশ্যই এটি বন্ধ করতে হবে।

এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!