নীলফামারী: এবারের কোরবানির হাট কাঁপাচ্ছেন ২২ মন ওজনের ষাড় মন্টি। মালিকের দাবি নীলফামারী জেলায় এবার এটাই সবচেয়ে বড় ষাঁড়।
৬ ফুট উচ্চতার এই মন্টিকে এবার ৮ লাখ টাকায় বিক্রির আশা করছেন গরুটির মালিক আক্কাস আলী। বিশাল দেহের ষাঁড় গরুটির আদর করে নাম রাখা হয়েছে মন্টি।
২ থেকে ৩ জন লোক সামালাতে হয় মন্টিকে। কাঁচা ঘাস, চোপড়, ভূসি, খইল, ভাত, খড়সহ দেশিও খাবার খাওয়ানো হয় ষাঁড়টিকে। প্রতিদিন যত্ন করে ৩ থেকে ৪ বার গোসল করানো হয়। গরম থেকে রক্ষা করতে সার্বক্ষণিক ফ্যান দিয়ে রাখা হয় তাকে।
বর্তমানে প্রতিদিন এই ষাঁড়টির পিছনে খরচ এক থেকে দেড় হাজার টাকা। প্রায় ৬ ফুট উচ্চতার ষাড়টির ওজন ২২ মন।
নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার ধলাগাছ সরদারপাড়া গ্রামের আক্কাস আলী তার বাড়িতে ফ্রিজিয়ান জাতের মন্টি নামের ষাড়টিকে পরম আদর যত্নে লালল-পালন করে এবারের কোরবানির ঈদের জন্য প্রস্তুত করেছেন।
আক্কাস আলী জানান, ২০২১ সালে এই ষাঁড় বাছুরটি কিনে লালন-পালন শুরু করেন। সম্পূর্ণ দেশি খাবার খাইয়ে প্রাকৃতিক ভাবে বড় করা হয় ষাঁড়টিকে। গেল কোরবানির ঈদের হাটে মন্টিকে তোলা হলে ৪ লাখ টাকা পর্যন্ত মূল্য উঠে।
কাঙ্খিত দাম না পেয়ে মন্টিকে ছেড়ে দেয়া হয়নি। এবার ঈদে মন্টিকে ৮ লাখ টাকায় বিক্রির আশা করছেন গরুটির মালিক আক্কাস আলী। ইতিমধ্যে জেলার ৩টি পশুর হাটে তোলা হয় ষাঁড়টিকে। ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত মূল্য উঠে। বিশাল দেহের অধিকারি মন্টিকে দেখতে প্রতিদিন বিভিন্ন স্থান থেকে উৎসুক মানুষ আসছেন বাড়িতে।
নীলফামারী সৈয়দপুর উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. হেমন্ত কুমার রায় জানান, ষাঁড়টি পরীক্ষা করে তার দেহে বিষাক্ত কিছু পাওয়া যায়নি।
প্রাকৃতিকভাবে এটি লালন-পালন করা হয়েছে। তাই এটি কোরবানির জন্য উপযোগী বলে তিনি জানান।
এআর
আপনার মতামত লিখুন :