গোপালগঞ্জে যৌথ অভিযানে ২০ জন আটক

  • গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি  | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুলাই ১৭, ২০২৫, ০১:৫৯ পিএম
গোপালগঞ্জে যৌথ অভিযানে ২০ জন আটক

গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশকে কেন্দ্র করে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় জেলাজুড়ে চলছে কারফিউ। কারফিউয়ের মধ্যে অভিযান চালিয়ে ২০ জনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

বিবিসি বাংলা জানায়, কারফিউয়ের মধ্যে এ পর্যন্ত ২০ জনকে আটকের খবর নিশ্চিত করেছেন গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মীর মো. সাজেদুর রহমান।

বুধবার রাতে তাদের আটকের পর গোপালগঞ্জ সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মির মো. সাজেদুর রহমান।

মূলত বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে এই ২০ জনকে আটক করার কথা জানান তিনি। আটককৃতদের গোপালগঞ্জ সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। আটকদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে বলে জানান ওসি মীর মো. সাজেদুর রহমান।

গোপালগঞ্জের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে বলেও জানান তিনি। এছাড়া গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. কামরুজ্জামান জানিয়েছেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।

বুধবার দেশজুড়ে ‘জুলাই পদযাত্রা’র ধারাবাহিক কর্মসূচির মধ্যে ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ কর্মসূচি ছিল এনসিপির। সকালে এনসিপি নেতাকর্মীরা শহরের পৌর পার্ক মাঠে কর্মসূচি শুরুর আগেই সড়ক অবরোধকে কেন্দ্র করে পুলিশের গাড়িতে আগুন ও ইউএনওর গাড়িতে হামলা হয়।

এনসিপি নেতাদের শহরে ঢোকার পরের পরিস্থিতি সামলাতে সাজোঁয়া যান নিয়ে নামতে হয় সেনা সদস্যদের। ছিল বিজিবির চার প্লাটুন সদস্য।

সকালে শহরের উলপুর ও টেকেরহাটে হামলা, ভাঙচুর ও আগুনের ঘটনার পর বেলা দেড়টার দিকে পৌর পার্কের সমাবেশ মঞ্চে হামলা হয়।

কিছুক্ষণ পর মঞ্চে ফিরে কর্মসূচি সংক্ষিপ্ত করে পুলিশ ও সেনা পাহারায় মাদারীপুরের দিকে রওনা দিলে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা লঞ্চঘাট এলাকায় হামলার মুখে পড়েন। এ সময় পুলিশের সঙ্গে হামলাকারীদের সংঘর্ষ বেঁধে যায়।

সংঘর্ষের পর চারজনের লাশ গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে আনার খবর আসে। আহত আরও ১৫ জন। এদের মধ্যে তিনজনকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিকালে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। তাতেও কাজ না হলে সন্ধ্যার পর জারি করা হয় কারফিউ।

পিএস

Link copied!