অ্যাম্বুলেন্স আটকে রাখায় নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনার মুলহোতা গ্রেপ্তার

  • শরীয়তপুর প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: আগস্ট ১৬, ২০২৫, ০১:৫৪ পিএম
অ্যাম্বুলেন্স আটকে রাখায় নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনার মুলহোতা গ্রেপ্তার

শরীয়তপুর : রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স আটকে রাখায় নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় মূল হোতা সবুজ দেওয়ানকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব ও পুলিশের যৌথ বাহিনী। 

শনিবার (১৬ আগস্ট) ভোরের দিকে শরীয়তপুর সদর উপজেলার বেড়া চিকন্দী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এর আগে শুক্রবার রাতে এই ঘটনায় পালং মডেল থানায় পাঁচ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছে শিশুটির বাবা নূর হোসেন সরদার। 

গ্রেপ্তার হওয়া সবুজ দেওয়ান (২৮) সদর উপজেলার ধানুকা এলাকার আবু তাহের দেওয়ানের ছেলে।

মামলার এজাহার, রোগীর স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ডামুড্যা উপজেলার কনেশ্বর এলাকার নূর হোসেন সরদারের স্ত্রী রুমা বেগম সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে একটি ছেলে সন্তানের জন্য দেন। বাচ্চাটি ভূমিষ্ট হওয়ার পর কিছুটা অসুস্থ থাকায় তারা চিকিৎসকের পরামর্শে সেদিন ঢাকায় নেওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন। 

তবে তাদের ভাড়া করা ঢাকাগামী অ্যাম্বুলেন্সটি যেতে বাধা দেয় স্থানীয় অ্যাম্বুলেন্স চালক সিন্ডিকেটের সদস্য সবুজ দেওয়ান ও আবু তাহের দেওয়ান নামের দুই ব্যক্তি। এক পর্যায়ে তারা ঢাকাগামী সেই অ্যাম্বুলেন্স চালকের কাছ থেকে জোরপূর্বক চাবি কেড়ে নিয়ে তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করে। দীর্ঘ ৪০ মিনিট অ্যাম্বুলেন্সটি আটকে থাকার পর শিশুটির সেখানেই মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় শিশুটির বাবা নূর হোসেন সরদার শুক্রবার রাতে সবুজ দেওয়ানসহ পাঁচ জনকে আসামি করে পালং মডেল থানায় একটি মামলা করেন। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার ভোরে র‍্যাব ও পুলিশের যৌথ বাহিনী মূল হোতা সবুজ দেওয়ানকে সদর উপজেলার বেড়া চিকন্দী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। 

র‍্যাব-৮ এর কোম্পানি কমান্ডার ও পুলিশ সুপার মীর মনির হোসেন বলেন, “আমরা বিষয়টি জানার পর অপরাধীদের ধরতে তৎপর হই। পরবর্তীতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনার মূল হোতা সবুজ দেওয়ানকে গ্রেপ্তার করে পালং মডেল থানায় হস্তান্তর করি। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার করা হবে শিগগিরই।”

পিএস

Link copied!