লক্ষ্মীপুর: বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক এম আব্দুল্লাহ বলেছেন, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠার পর থেকে পটপরিবর্তনের আগে পর্যন্ত প্রায় ৬ হাজার ২শ সাংবাদিককে কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে ৪৮ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।
এরমধ্যে ভিন্ন মতের সাংবাদিকদের সংখ্যা অন্ত ২০ জন। বেশি জোর হলে এর সংখ্যা ৫০ হবে। ভিন্ন মত বলতে যেটা বুঝাতে চাচ্ছি সেটা হলো জাতীয়তাবাদী ও ইসলামপন্থি যারা পরিবর্তনের পর এখন একটু ভালো সময়ে আছেন।
নয়াদিগন্ত একটি প্রথম সারির পত্রিকা, সেখান থেকে আমার খুঁজে পেয়েছি ৬ হাজারের মধ্যে মাত্র ১ জন। বিগত সময়ে সহায়তার ক্ষেত্রে এ দৃষ্টিভঙ্গি পোষন করা হয়েছে।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের হলরুমে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের পক্ষ থেকে জেলার সাংবাদিকদের মাঝে অনুদানের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। জেলায় কর্মরত ২৩ জন ও ফেনী জেলার ১ জন সাংবাদিককে অনুদানের চেক প্রদান করা হয়।
তিনি বলেন, আমি দায়িত্ব নেওয়ার আগ পর্যন্ত সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের একমাত্র কাজ হলো এ চেক বিতরণ। আমি দায়িত্ব গ্রহন করার পরে এখানে যে আরো কাজ করার সুযোগ আছে তা শুরু করলাম। সাংবাদিকদের মেধাবী সন্তানদের বৃত্তি দেওয়া শুরু হলো। আমরা জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছি, তাদের আর্থিক সহায়তা দিয়েছি, আহতদের পাশেঁ দাঁড়িয়েছি।
প্রবীণ পেশাদার সাংবাদিকদের মাসিক ভাতার আওতায় আনার কাজ প্রস্তাবনায় আছে, আশা করি তা দ্রুত বাস্তবায়ন করতে পারবো।
আমি দায়িত্ব নেয়ার পর ৯২২ জন গুরুতর অসুস্থ, ক্যান্সারে আক্রান্ত, হৃদরোগে বাইপাসের প্রয়োজন হয়েছে, কিডনি ডায়ালাইসিস চলছে এ ধরনের সাংবাদিককে সর্বোচ্চ সহায়তা দিয়েছি। যাদের আর্থিক সীমাবদ্ধতা আছে তাদের জন্য রমজান মাসে প্রায় ১৫শ সাংবাদিককে ইফতার ও উপহার সামগ্রী প্রদান করেছি এবং সাংবাদিকদের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, বিগত ফ্যাসিস সরকার দায়িত্ব নেওয়ার আগে যে সব এলাকায় বিএনপির আধিপত্য ছিলো, জাতীয়তাবাদের আধিপত্য ছিলো সে সব জেলা গুলোয় সকল সুযোগ সুবিধায় উন্নয়নের মঞ্চ নাটকও ছিলো, এ ধরনের সুযোগ সুবিধায়ও বঞ্চনার শিকার হয়েছিলো। এরআগে লক্ষ্মীপুরের প্রতি অবিচার করা হয়েছে। বৃহত্তর নোয়াখালী জাতীয়তাবাদী ধারা রাজনৈতিক অধ্যুষিত এলাকা হিসেবে মনে করা হতো একারণে এসব এলাকার আবেদন দেখলে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হতো।
জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সম্রাট খীসা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রেজাউল হক, জেলা তথ্য কর্মকর্তা বিশ্বনাথ মজুমদার, লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি হোসাইন আহমেদ হেলাল, সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম পাবেল, সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম স্বপন প্রমুখ।
এআর
আপনার মতামত লিখুন :