এবার গাইবান্ধায় ১১ জনের শরীরে অ্যানথ্রাক্স শনাক্ত

  • গাইবান্ধা প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: অক্টোবর ৩, ২০২৫, ০৫:৪৯ পিএম
এবার গাইবান্ধায় ১১ জনের শরীরে অ্যানথ্রাক্স শনাক্ত

গাইবান্ধা : রংপুরের পর এবার গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের বেলকা ইউনিয়নের কিশামত সদর গ্রামে ১১ জনের শরীরে অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ দেখা দিয়েছে। এদের মধ্যে ৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

জানা গেছে, রোগাক্রান্ত গরুর মাংস কাটাকাটি করায় তাদের শরীরে অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ দেখা দিয়েছে। খবরটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ায় অনেকের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। 

বিষয়টি নিশ্চিত করে কিশামত সদর গ্রামের ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. হাফিজার রহমান বলেন, গত সোমবার ওই গ্রামের মাহবুর রহমানের একটি রোগাক্রান্ত গরু স্থানীয়রা জবাই করে মাংস কাটাকাটি করে নিয়ে যান। এতে অন্তত ১১ জন অংশ নেন। চারদিন পর গত বৃহস্পতিবার ওই ১১ জনের শরীরের বিভিন্ন অংশে ফোসকা পড়েছে এবং মাংসে পচন ধরেছে।

আক্রান্তদের মধ্যে মোজা মিয়া, মোজাফফর মিয়া, শফিকুল ইসলাম, মাহবুর রহমান বেশি অসুস্থ। তারা গাইবান্ধা রাবেয়া ক্লিনিক অ্যান্ড হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন হতে পাশের পীরগাছা উপজেলায় গরু ছাগলের মাঝে অ্যানথ্রাক্স রোগের প্রকোপ দেখা দেয়। তার প্রভাব এখন সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। 

ইতোমধ্যে সর্বানন্দ, বামনডাঙ্গা, তারাপুর ও পৌরসভায় অ্যানথ্রাক্স টিকা প্রদান করা হয়েছে। অ্যানথ্রাক্স রোগে আক্রান্ত পশু পরিচর্যা করলে বা সেই পশু জবাই করে মাংস কাটাকাটি করলে মানুষের মাঝেও অ্যানথ্রাক্স রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে। সে কারণে অ্যানথ্রাক্স রোগে আক্রান্ত গরু-ছাগল কোনো অবস্থাতেই জবাই করা যাবে না।

এর আগে রংপুরের তিন উপজেলায় ১১ জনের শরীরে অ্যানথ্রাক্স শনাক্ত হয়েছে।

পিএস

Link copied!