ছবি প্রতিনিধি
কক্সবাজার: সব প্রস্তুতি প্রায় শেষ, কাস্টমস ও ইমিগ্রেশন প্রস্তুত, টার্মিনালের দরজা আংশিকভাবে খোলা-তবু কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে রবিবার নির্ধারিত আন্তর্জাতিক ফ্লাইটটি উড়ছে না। সরকারের আনুষ্ঠানিক অনুমোদন না পাওয়ায় শেষ মুহূর্তে আটকে গেছে বহুল প্রত্যাশিত ফ্লাইট উদ্বোধন।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স প্রাথমিকভাবে কক্সবাজার-কলকাতা-ঢাকা রুটে সপ্তাহে একটি ফ্লাইট চালুর পরিকল্পনা করেছিল। তবে এখনও টিকিট বিক্রি শুরু করা যায়নি। বিমানের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক বোসরা ইসলাম জানান, কক্সবাজার বিমানবন্দর কবে আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিক মর্যাদা পাবে, তা এখনও চূড়ান্ত নয়।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) সদস্য (অপারেশনস অ্যান্ড প্ল্যানিং) এয়ার কমোডর আবু সাঈদ মেহবুব খান বলেন, বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মর্যাদা দেওয়ার প্রস্তাব ইতিমধ্যে সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের অনুমোদন দ্রুত পাওয়া যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
বিমানবন্দর পরিচালক গোলাম মুর্তজা হোসেন বলেন, কাস্টমস ও ইমিগ্রেশন সুবিধা প্রস্তুত। আগমন বিভাগ নতুন টার্মিনালে হলেও প্রস্থান আপাতত পুরনো ভবন দিয়েই হবে। নতুন টার্মিনালের ৮৩ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ ইউনুস ভূঁইয়া। ডিসেম্বরের মধ্যে পুরো কাজ শেষ হওয়ার প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
৩৬২ কোটি টাকার টার্মিনাল নির্মাণ করছে চায়না রেলওয়ে ফার্স্ট গ্রুপ ও ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড। টাইলিং, বিদ্যুৎ সংযোগ ও শীতাতপ যন্ত্র স্থাপনের কাজ চলছে। অন্যদিকে ১ হাজার ৭৯৪ কোটি টাকার রানওয়ে সম্প্রসারণ প্রকল্পের অগ্রগতি ধীর, যার সময়সীমা ২০২৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত।
স্থানীয়রা চাইছেন বিমানবন্দর হজরত শাহ আবদুল মালেকের নামে নামকরণ করা হোক। কক্সবাজার নাগরিক ফোরামের সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, হজরত মালেক শাহ কক্সবাজারের একজন শ্রেষ্ঠ আধ্যাত্মিক পুরুষ, তাই তাঁর নামে বিমানবন্দর হলে জনগণ খুশি হবে।
পর্যটন ও ব্যবসায়িক খাতে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু হলে বিদেশি পর্যটকের আগমন বহুগুণ বাড়বে। হোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু হলে কক্সবাজার হবে আন্তর্জাতিক পর্যটকদের পছন্দের গন্তব্য। এতে কর্মসংস্থান ও স্থানীয় অর্থনীতিও চাঙ্গা হবে।
এসএইচ
আপনার মতামত লিখুন :