মাসে ৪০-৫০ মন কেচো সার উৎপাদন করে ফরহাদ

  • জাহাঙ্গীর আলম,কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: নভেম্বর ১২, ২০২৫, ০৫:৩৭ পিএম
মাসে ৪০-৫০ মন কেচো সার উৎপাদন করে ফরহাদ

ছবি: প্রতিনিধি

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার বড়লই এলাকায় তরুণ উদ্যোক্তা ফরহাদ আল মামুন নিজের খামারের গরুর গোবর ব্যবহার করে ভার্মি কম্পোস্ট বা কেচো সার উৎপাদন করে এলাকায় সাড়া ফেলেছেন। তার উদ্ভাবনী উদ্যোগে এখন এলাকার কৃষিতে জৈব সারের ব্যবহার বেড়েছে, যা এক ধরনের নবজাগরণ সৃষ্টি করেছে।

ছয় মাস আগে খামারের গোবর দেখে উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের ‘অনাবাদি পতিত জমি ও বসতবাড়ির আঙ্গিনায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন’ প্রকল্পের আওতায় ফরহাদ দশটি রিং ও চারটি চেম্বার দিয়ে কমিউনিটি বেইজড ভার্মি কম্পোস্ট উৎপাদন প্রদর্শনী শুরু করেন। অল্প সময়ের মধ্যেই সফল হয়ে তিনি নিজ উদ্যোগে আরও ৩০টি রিং বসিয়ে ভার্মি কম্পোস্ট উৎপাদন শুরু করেন। বর্তমানে তিনি প্রতিমাসে ৪০-৫০ মন কেচো সার উৎপাদন করতে সক্ষম, যা থেকে দুই জন শ্রমিকের খরচ মিটিয়ে মাসে ৩০–৪০ হাজার টাকা আয় করছেন।

ফরহাদের খামারে প্রতিনিয়ত কৃষকরা এসে কম্পোস্ট দেখতে ও কিনতে আসছেন। অনেকেই উৎপাদন সংক্রান্ত পরামর্শ নিচ্ছেন। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আশরাফুল আলম জানান, ফরহাদের বাড়িতে গরুর গোবর দেখে তাকে উদ্বুদ্ধ করলে সে প্রথমবারেই সফল হয় এবং পরে নিজ উদ্যোগে উৎপাদন বাড়ায়।

স্থানীয় কৃষক আবুল হোসেন ও বাদশা মিয়া জানান, রাসায়নিক সার ব্যবহারে জমির উর্বরতা কমে যাচ্ছে। ফরহাদের তৈরি ভার্মি কম্পোস্ট ব্যবহার করলে জমি উর্বর হচ্ছে এবং ফলনও বাড়ছে।

উদ্যোক্তা ফরহাদ আল মামুন জানান, খামারে প্রতিদিন জমে থাকা গোবর আগে নষ্ট হতো। পরে কৃষি অফিসের প্রদর্শনী ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ভার্মি কম্পোস্ট উৎপাদনের উদ্যোগ নেন। এখন তিনি মাসে ৪০–৫০ মন কেচো সার উৎপাদন করেন এবং অনেকেই কিনতে ও পরামর্শ নিতে আসে।

উপজেলা কৃষি অফিসার নিলুফা ইয়াসমিন বলেন, কমিউনিটি বেইজড ভার্মি কম্পোস্ট প্রদর্শনী থেকে ফরহাদ সফল উদ্যোক্তা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন। সরকারের সহায়তায় তৈরি সার বাজারজাত করা হবে। ফরহাদের উদ্যোগ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহের মাধ্যমে কৃষি উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।

এসএইচ 

Link copied!