টানা বর্ষণে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, পাহাড় ধস

  • বান্দরবান প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুন ১৩, ২০১৭, ১০:৫১ এএম
টানা বর্ষণে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, পাহাড় ধস

বান্দরবান : জেলায় তিন দিনের টানা বর্ষণে পাহাড়ি ঢলে নিম্নাঞ্চলের প্রায় দশ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে । ফলে প্লাবিত এলাকাসহ  আশপাশের লোকজন নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে শুরু করেছে।

এদিকে অবিরাম বর্ষণ অব্যহত থাকায় সাঙ্গু ও মাতামুহরী নদীর পানি ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সরেজমিনে পরিদর্শনে দেখা যায় নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিভিন্ন ঝিরি ছড়া দিয়ে প্রবেশ করে বান্দরবান শহরের আর্মি পাড়া, ওয়াবদা ব্রিজ, শেরেবাংলা নগর, বালাঘাটা, ইসলামপুর, কাসেম পাড়া, অফিসার্স ক্লাব, বনানী সমীল ও সাঙ্গু নদীর তীরসহ কয়েকটি এলাকা ও লামা, আলীকদম এবং নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় প্রায় দশ হাজার ঘরবাড়ী বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে।

প্লাবিত এলাকার লোকজন বিভিন্ন স্কুলে নিরাপদ আশ্রয়ে অবস্থান নিয়েছে।

এদিকে টানা ভারী বর্ষণের ফলে শহরের লাংগি পাড়া, হাফেজঘোনা, কালাঘাটাসহ বেশ কয়েকটি স্থানে ছোট ছোট পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত তিন শিশুসহ ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো তিনজন।  ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো থেকে লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে শহরে জেলা প্রশাসন এবং পৌরসভার পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে।

এদিকে বান্দরবান কেরানীহাট সড়কের বাজালিয়া-মাহালিয়া এলাকায় প্রধান সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় কোন যানবাহন চলাচল করছেনা।

অপরদিকে বান্দরবান-রাঙ্গামাটি সড়কের স্বর্ণ মন্দির এলাকায় ব্রীজ ডুবে যাওয়ায় বান্দরবানের সঙ্গে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙামাটিসহ অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

সোমবার বিকালে প্রবল বর্ষণের সময় বান্দরবান-রুমা সড়কের দনিয়াল পাড়া এলাকায় বড় একটি পাহাড় ধসে পড়লে বান্দরবানের সঙ্গে রুমা উপজেলার সড়ক যোগযোগ বন্ধ হয়ে যায়।

এবিষয়ে জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক জানান, পাহাড় স্লাইডের কারণে যে দূর্যোগ হতে পারে সে জন্য সম্ভাব্য এলাকা থেকে লোকজনকে সরিয়ে যাওয়ার জন্য শহরের বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে । ইতিমধ্যে অনেকে সরে এসেছে। তাদেরকে থাকার জন্য বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্র খুলে দেয়া হয়েছে। এবং দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা আছে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Link copied!