সন্ত্রাসবিরোধ আইনের মামলায় সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে আদালতে তোলা হলে কাঠগড়ায় তাকে অঝোরে কাঁদতে দেখা গেছে। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৫টা ২৮ মিনিটে তাকে আদালতের হাজতখানা থেকে এজলাসে তোলা হয়। পরে আনিস আলমগীরকে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে পুলিশ।
অন্যদিকে জামিনের আবেদন করে আসামিপক্ষ। পরে শুনানি শেষে আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে কাঠগড়ায় তোলার সময় আনিস আলমগীরের আইনজীবীরা তাকে ঘিরে ধরেন। এ সময় কয়েকজনের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি, এরপর অঝোরে কাঁদতে থাকেন। বারবার হাত দিয়ে চোখের পানি মোছেন।
প্রসঙ্গত, রোববার সাংবাদিক আনিস আলমগীর, অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওনসহ মোট চারজনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। এই মামলায় ডিবি হেফাজতে থাকা সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০২৪ সালের জুলাই মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও তার অনুসারীরা বিভিন্ন কৌশলে ঘাপটি মেরে দেশে অবস্থান করে দেশকে অস্থিতিশীল ও অবকাঠামোকে ধ্বংস করার লক্ষ্যে রাষ্ট্রবিরোধী অপরাধ সংঘটনের ষড়যন্ত্র করে আসছে।
আসামিরা ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন টেলিভিশনের টক শোতে বসে নিষিদ্ধ সংগঠনকে ফিরিয়ে আনার গুজব (প্রপাগান্ডা) চালিয়ে আসছে।
এর মাধ্যমে তারা আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের পাঁয়তারা করছে। এসব বিভিন্ন পোস্টের ফলে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীরা অনুপ্রাণিত হয়ে রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল ও অবকাঠামোকে ধ্বংস করার লক্ষ্যে রাষ্ট্রবিরোধী অপরাধ সংঘটনের ষড়যন্ত্র ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করছেন।
এম
আপনার মতামত লিখুন :