হাসিনা-রেহানা-টিউলিপের মামলার রায়, আদালত এলাকায় কড়া নিরাপত্তা

  • সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১, ২০২৫, ১০:১৫ এএম
হাসিনা-রেহানা-টিউলিপের মামলার রায়, আদালত এলাকায় কড়া নিরাপত্তা

রাজধানীর পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে প্লট বরাদ্দে ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা এবং রেহানার মেয়ে ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিকসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করা হবে আজ। রায়কে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই আদালত এলাকায় ব্যাপক নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে।

ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক রবিউল আলম বেলা ১১টায় রায় ঘোষণা করবেন।

সোমবার সকাল থেকেই আদালত ভবনের প্রধান প্রবেশদ্বার ও আশপাশের এলাকায় পুলিশ ও বিজিবির সদস্যদের নজরদারি বাড়াতে দেখা গেছে। এজলাস ভবনের করিডোর ও প্রবেশপথে অতিরিক্ত পুলিশ অবস্থান নিয়েছে।

নিরাপত্তা ব্যবস্থায় নিয়োজিত পুলিশের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, নিয়মিত নিরাপত্তার পাশাপাশি মামলার গুরুত্ব বিবেচনায় বিশেষ সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। সন্দেহজনক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং পুরো এলাকা নজরদারির আওতায় রাখা হয়েছে।

দুদকের উপপরিচালক সালাহউদ্দিন চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি মামলাটি দায়ের করেন। অভিযোগ ছিল—ক্ষমতার অপব্যবহার করে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে শেখ রেহানার জন্য ১০ কাঠার প্লট বরাদ্দ নেওয়া হয়। তদন্তের পর গত ১০ মার্চ আরও দুইজনকে যুক্ত করে মোট ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া।

মামলার অন্যান্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন— সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের সাবেক সচিব, অতিরিক্ত সচিব, রাজউকের সাবেক কর্মকর্তারা, এক অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-১ মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদসহ মোট ১৭ জন।

গত ৩১ জুলাই আদালত অভিযোগ গঠন করে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরুর নির্দেশ দেন। বিচার চলাকালে ৩২ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।

মামলার সমন্বয়কারী ও দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মঈনুল হাসান বলেন, “আমরা সাক্ষ্য-প্রমাণের মাধ্যমে আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণ করতে পেরেছি। রায় ঘোষণার পরই মামলার পরবর্তী আইনগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দিতে পারেন।”

এম

Link copied!