ন্যূনতম মজুরি ১৬ হাজার টাকার প্রস্তাব

পোশাক খাতে ফের মজুরি বাড়ানোর দাবি

  • বিশেষ প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মে ২৯, ২০১৬, ০১:৪৬ পিএম
পোশাক খাতে ফের মজুরি বাড়ানোর দাবি

পোশাক খাতে আবারও মজুরি বাড়ানোর দাবি উঠেছে। বর্তমান বাজারমূল্যে পূর্বনির্ধারিত ৫ হাজার ৩০০ টাকা সঙ্গতিপূর্ণ নয়, এমন যৌক্তিকতায় মজুরি বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করছে খাতসংশ্লিষ্ট ১২টি শ্রমিক সংগঠন। 

২০১৩ সালে নতুন মজুরি কাঠামো ঘোষণা হয়েছে পোশাক খাতে। সেই নতুন কাঠামো বাস্তবায়ন শুরু হয় পরের বছর জানুুয়ারি থেকে। বছর পেরুতেই ফের খাতটিতে সম্প্রতি মজুরি বাড়ানোর দাবি উঠলো। 

গত আড়াই থেকে তিন বছরের মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য ব্যাপক হারে বেড়েছে। এ ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে সামঞ্জস্য হারিয়েছে পোশাক শ্রমিকদের মজুরির বর্তমান কাঠামো। এ পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি একাধিক শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে পোশাক খাতের মজুরি বাড়ানোর দাবির বিষয়টি উঠে এসেছে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল মজুরি বাড়ানোর দাবিতে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন নিম্নতম মজুরি বোর্ডে স্মারকলিপি জমা দিয়েছে একাধিক শ্রমিক সংগঠনের একটি জোট।

গার্মেন্টস শ্রমিক অধিকার আন্দোলন শীর্ষক ১২টি গার্মেন্টস শ্রমিক সংগঠনের জোটটির সমন্বয়ক মোশারেফা মিশুর নেতৃত্বে একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে গার্মেন্ট শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ১৬ হাজার টাকা করার দাবি তোলা হয়। সমাবেশ শেষে মিছিল করে নিম্নতম মজুরি বোর্ডের কাছে এ দাবিসংবলিত একটি স্মারকলিপি জমা দেন জোটের প্রতিনিধিরা।

জোট নেতাদের দাবি, গার্মেন্ট শ্রমিকদের জীবনযাপনের জন্য নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৫ হাজার ৩০০ টাকা অপর্যাপ্ত। একই সঙ্গে এ মজুরি বর্তমানে বাজারের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যের সঙ্গে সঙ্গতিহীন। গত তিন বছরে বাড়ি, গাড়ি ভাড়া, দফায় দফায় বিদ্যুত্-গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি শিক্ষা-চিকিত্সা ব্যয়বৃদ্ধি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য লাগামহীনভাবে বাড়লেও গার্মেন্ট শ্রমিকদের মজুরি বাড়েনি। অথচ এ সময়ের মধ্যে জীবনযাত্রার খরচ বেড়েছে তিন গুণ।

জীবনযাত্রার ব্যয়বৃদ্ধির কারণে সরকার নতুন পে-স্কেল ঘোষণা করে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বাড়ালে শ্রমিকদের মজুরি কেন বাড়বে না, এমন প্রশ্ন তুলে জোটের নেতারা আরো বলেন, শ্রমিকরাও তো একই বাজার থেকে কেনাকাটা করে। তাই আমরা দাবি করছি গার্মেন্ট শ্রমিকদের বাঁচার মতো ন্যূনতম মজুরি ১৬ হাজার টাকা ঘোষণা করতে হবে। আর নতুন মজুরি নির্ধারণের আগ পর্যন্ত গার্মেন্ট শ্রমিকদের ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা প্রদান ও বার্ষিক ১০ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট দেয়ার দাবিও জানান শ্রমিক নেতারা।

সমাবেশে অংশ নেন বাংলাদেশ গার্মেন্টস টেক্সটাইল ফেডারেশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান ইসমাইল, বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির সভাপতি তাসলিমা আক্তার লিমা, গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের ফখরুদ্দীন আতিক, বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক মুক্তি আন্দোলনের সভাপতি শবনম হাফিজ, ওএসকে গার্মেন্টস অ্যান্ড টেক্সটাইল শ্রমিক ফেডারেশনের প্রকাশ দত্ত, গার্মেন্টস শ্রমিক আন্দোলনের তৌহিদুল ইসলাম, গার্মেন্টস শ্রমিক সভার শামছুল আলম, সমন্বিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি রফিকুল ইসলাম পথিক ও সাখাওয়াত হোসেন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/ জেডআরসি

Link copied!