ফাইল ছবি
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে ১ লাখ ৩১ হাজার ১৬৬ জনের কর্মসংস্থানের পথ বন্ধ হয়েছে। শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের পথও এতে বন্ধ হয়ে গেছে। তারা বলছেন, সরকারের এই সিদ্ধান্ত দীর্ঘমেয়াদে শিক্ষা ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব ফেলবে এবং এটি শুধুমাত্র একটি বিশেষ গোষ্ঠীকে সন্তুষ্ট করার জন্য নেওয়া হয়েছে।
২০২০ সালের একটি সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত ও শারীরচর্চা বিষয়ক শিক্ষক নিয়োগের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। গত ২৮ আগস্ট ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৫’-এ সংগীত শিক্ষক ও শারীরিক শিক্ষা নামে দুটি নতুন পদ সৃষ্টি করা হয়। তবে সোমবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এই দুটি পদের নিয়োগযোগ্যতা ও যোগ্যতার অংশ বাদ দেয়।
শিক্ষাবিদরা বলছেন, শিক্ষার্থীদের মেধা ও মননের বিকাশের জন্য ক্রীড়া এবং সাংস্কৃতিক চর্চা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তারা আশা করছেন, সরকার দ্রুত এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করবে এবং শিক্ষার্থীদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশের জন্য পদক্ষেপ নেবে।
দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৫৬৭টি। প্রতিটি বিদ্যালয়ে একজন করে সংগীত শিক্ষক ও একজন করে শারীরিক শিক্ষা শিক্ষক থাকলে মোট পদ দাঁড়ায় ১ লাখ ৩১ হাজার ১৩৪টি। এই পদ বাতিলের ফলে বড় সংখ্যক কর্মসংস্থানের সুযোগ হারিয়েছে।
শিক্ষাবিদরা উদ্বেগ প্রকাশ করছেন যে, শিশুদের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ও খেলাধুলা থেকে বিরত রাখা হলে বর্তমান ডিভাইসমুখী পরিস্থিতি আরও বেড়ে যাবে। ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক চর্চা শিশুর মানসিক ও শারীরিক বিকাশের জন্য অপরিহার্য।
এদিকে ধর্মভিত্তিক কিছু দলের হুমকির প্রভাবে সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে মন্তব্য করা হচ্ছে। উদীচীসহ বিভিন্ন সংগঠন সরকারের এই পদক্ষেপের প্রতিবাদ জানিয়েছে।
এসএইচ
আপনার মতামত লিখুন :