ফাইল ছবি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা আগামীকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই হলের নাম পরিবর্তনের পাশাপাশি জুলাই গণহত্যার সমর্থনকারী শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে ভিসি অফিস ঘেরাও করবেন।
তারা জানিয়েছেন, মুজিব হলের নাম পরিবর্তন করে ‘শহীদ ওসমান হাদি হল’ এবং শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নাম পরিবর্তন করে ‘ফেলানী হল’ করার প্রস্তাব নিয়েই এই কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে। ছাত্রদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ে নামকরণের ক্ষেত্রে অতীতের ইতিহাস ও ন্যায্যতা বিবেচনা করা জরুরি।
ছাত্ররা ভিসি অফিসের সামনে অবস্থান করে প্রশাসনের কাছে স্পষ্ট বার্তা দেবেন যে, যারা ১৯৭১ সালের জুলাই গণহত্যাকে সমর্থন করেছেন বা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তাদের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কোনো অবস্থান থাকা উচিৎ নয়। তারা একই সঙ্গে প্রশাসনের নীরবতার বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
হল সংসদ ও বিভিন্ন শিক্ষার্থী সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রশাসন যদি তাদের দাবির প্রতি গুরুত্ব না দেয়, তাহলে আরও তীব্র আন্দোলন কর্মসূচি নেওয়া হবে। এই পদক্ষেপকে ঢাবি ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের এক ঐতিহাসিক প্রতিবাদমূলক উদ্যোগ হিসেবে দেখানো হচ্ছে।
শিক্ষার্থীদের মতে, এটি শুধু নাম পরিবর্তনের দাবি নয়, বরং ইতিহাসের ন্যায্যতা রক্ষার এক গুরুত্বপূর্ণ আন্দোলন। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃত এবং প্রভাবশালী প্রশাসনের কাছে তারা দাবি জানিয়েছেন, প্রভাবশালী বা ক্ষমতাসীন ব্যক্তিদের প্রভাব থেকে বেরিয়ে সত্য ও ন্যায়ের পথে পদক্ষেপ নিতে হবে।
শিক্ষার্থীরা আরও বলেছে, “শহীদ ওসমান হাদীর ত্যাগ ও সংগ্রামের স্মৃতিকে আমরা সংরক্ষণ করতে চাই। একই সঙ্গে যেসব শিক্ষক ও কর্মকর্তারা ইতিহাস বিকৃতির পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া আমাদের মৌলিক দাবি।”
ভিসি অফিস ঘেরাও কার্যক্রমটি আগামীকাল সকাল থেকে শুরু হবে এবং শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের সঙ্গে সরাসরি সংলাপে বসার চেষ্টা করবেন।
এসএইচ
আপনার মতামত লিখুন :