ফাইল ছবি
সরকারি চাকরিজীবীরা নতুন পে স্কেল বাস্তবায়নের দাবিতে এক দফা মহাসমাবেশ করবে। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদের ব্যানারে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। এতে অংশ নেবেন কয়েক ডজন সরকারি কর্মচারী সংগঠনের সদস্যরা।
কর্মচারী নেতারা ইতোমধ্যেই হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছেন, নতুন বেতন কাঠামোর দাবি পূরণ না হলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। তবে মহাসমাবেশ থেকে সরাসরি কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার সম্ভাবনা কম। চলমান কর্মসূচি চালু থাকবে এবং সরকারের কাছে আল্টিমেটাম দেওয়া হবে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ওই সময়ের মধ্যে নতুন পে স্কেল বাস্তবায়ন না হলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি বাদিউল কবির জানিয়েছেন, শুক্রবারের কর্মসূচি সরকারের কাছে বার্তা পৌঁছে দেবে। ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে যদি নতুন পে স্কেল না দেয়া হয়, তখন কঠোর কর্মসূচি নেয়া হবে।
মুখ্য সমন্বয়ক মো. ওয়ারেছ আলী জানিয়েছেন, এখনো নতুন কর্মসূচি চূড়ান্ত হয়নি। আলোচনার মাধ্যমে কর্মসূচি ঠিক করা হবে। তবে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত কঠোর কর্মসূচি না দেয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
১১-২০ গ্রেড সরকারি চাকরিজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান বলেন, পে স্কেলের দাবিতে আন্দোলন চলমান রয়েছে। ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ধারাবাহিক কর্মসূচি থাকবে। সরকার যদি সঠিক সিদ্ধান্ত না নেন, তাহলে দাবি আদায়ের জন্য কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
কর্মচারীদের অনেকেই আশা করছেন, মহাসমাবেশে সারাদেশ থেকে হাজার হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করবে, তাই সমাবেশের মঞ্চ থেকেই কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা উচিত, নয়তো পে স্কেলের দাবি আদায় করা কঠিন হয়ে পড়বে।
এসএইচ
আপনার মতামত লিখুন :