স্বপ্ন বুনছে দুপাড়ের মানুষ, পার হওয়ার অপেক্ষায়

  • মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মে ১৯, ২০২৪, ০৮:০৪ পিএম
স্বপ্ন বুনছে দুপাড়ের মানুষ, পার হওয়ার অপেক্ষায়

মিরসরাই: একটি সেতু বদলাবে অনেক কিছুই। উন্নয়ন ঘটবে শিক্ষা, চিকিৎসা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ নানান খাতে। দুপাড়ের মানুষের জীবনযাত্রা, যোগাযোগ ব্যবস্থা, আত্মীয়তার সুসম্পর্ক বাড়াতে গড়ে উঠছে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন সেতু (প্রস্তাবিত)।

এক পাড়ে চট্টগ্রামের মিরসরাই অন্য পাড়ে ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলা। ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির দিক দিয়ে এই দুই অঞ্চলের মানুষের মধ্যে অনেকটা মিল থাকলেও একটি নদী সে মিলনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে সে বাঁধার পরি সমাপ্তি ঘটছে খুব শীঘ্রই।

সারেজমিনে দেখা যায়, ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন সেতুটি প্রায় ৭০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।

কথা হয় ফিরোজা বেগম নামের ৫৫ বছর বয়সী এক বৃদ্ধার সাথে, ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া উপজেলার আলোকদিয়ায় তার বাড়ি। দাঁড়িয়ে আছেন ডিঙ্গি নৌকার জন্য পার হয়ে এপারে এসে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয় করতে যাবেন বারইয়ারহাট পৌর বাজারে। ডিঙি নৌকা যোগে ১০ টাকা বিনিময়ে পার হওয়া যায় এপার থেকে ওপারে।

একি সময় দেখা মিলেছে আফরোজা ও আজিজ সওদাগর নামের দুজনকে, সম্পর্কে তারা বাবা-মেয়ে যাচ্ছেন বারইয়ারহাট ডাক্তার দেখাতে।

এভাবে প্রতিদিন শত শত মানুষ এপার থেকে ওপারে ডিঙি নৌকায় করে পার হচ্ছেন। শুধু অপেক্ষায় কবে চালু হবে ফেনী নদীর ওপর নির্মাণাধীন ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন সেতুটি। উদ্ধোধন হলে শত কষ্ট লাঘব ঘটবে সেতুর মারফতে।

সেতুটির কাজ শেষ হলে দুপাড়ের মানুষের সুসম্পর্কের পাশাপাশি বাড়বে বারইয়ারহাট পৌর বাজারের ব্যবসায়িক উন্নতি। সেতুটির নিকটবর্তী সুনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মহাজনহাট ফজলুর রহমান স্কুল এন্ড কলেজে পড়াশোনার সুব্যবস্থা পাবে ছাগলনাইয়া উপজেলার শিক্ষার্থীরা।

মহাজনহাট ফজলুর রহমান স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আজমল হোসেন জানান, অনেক শিক্ষার্থী ছাগলনাইয়া উপজেলা থেকে আমাদের প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করে। তবে তাদের কষ্ট করে মুহুরী সেতু দিয়ে ঘুরে আসতে হয়। এই সেতুটি চালু হলে খুব সহজে শিক্ষার্থীরা আসা যাওয়া করতে পারবে। তাদের পড়াশোনার আগ্রহটাও বাড়বে।

বারইয়ারহাট পৌর মেয়র রেজাউল করিম খোকন জানান, সেতুটি চালু হলে বারইয়ারহাট পৌর বাজারের ব্যবসায়িক আরো অনেক উন্নতি ঘটবে।

জানা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ফেনী নদীর ধুম ইউনিয়নের ধুম গ্রাম এলাকায় ২৫২ মিটার দৈর্ঘ্যের এ সেতুটি নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ৩০ কোটি টাকা। সেতুর কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এইচইএইচটি (জেবি)। সেতুর উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন করেন মিরসরাইয়ের সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।

এমএস

Link copied!