করোনাকালীন কৌশলী কর্মসূচী দিতে যাচ্ছে সরকারি কার্মচারীরা 

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জানুয়ারি ২১, ২০২২, ০৩:৪০ পিএম
করোনাকালীন কৌশলী কর্মসূচী দিতে যাচ্ছে সরকারি কার্মচারীরা 

ঢাকা: দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বেতন বৈষম্য নিরসন, ৫০শতাংশ মহার্ঘ ভাতা প্রদানসহ সাত দফা দাবি আদায়ে কৌশলী কঠোর কর্মসূচী দিতে যাচ্ছে সরকারি কর্মচারীরা।

কর্মসূচি ঠিক করতে শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে সভা করেছে ‘বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারি দাবি আদায় ঐক্য পরিষদ’-এর কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা। 

এর আগে দাবি আদায়ে নতুন কর্মসূচি ঠিক করতে গত শনিবার (১৫ জানুয়ারি) বৈঠক করেছেন সরকারি কর্মচারীদের সাংগঠনিক জোটের শীর্ষস্থানীয় সকল নেতৃবৃন্দ। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সমিতি কক্ষে সেই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। 

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ, বিধিনিষেধ চলাকালে কিভাবে দাবি-আদায় কার্যক্রম পরিচালনা করা যায় সে বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে বিস্তর আলোচনা হয়েছে।

বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী কর্মসূচি জানিয়ে দেওয়া হবে। 

৭ দফা দাবি আদায়ে ১৪ জানুয়ারি চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাবেশ হওয়ার কথা ছিলো।এরপর ধাপে ধাপে সামবেশ হবে অন্য বিভাগে।

তবে ১২ জানুয়ারি বাংলাদেশ সরকারি দাবি আদায় ঐক্য পরিষদের এক ঘোষণায় বলা হয়েছে, এতদ্বারা সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, কোভিড-১৯ ওমিক্রনের প্রভাব বিস্তার করার কারণে সরকার সভা-সমাবেশের ওপর বিধি-নিষেধ আরোপ করায় ও চট্টগ্রামের প্রশাসন থেকে সমাবেশের অনুমতি না পাওয়ায় ১৪-০১-২০২২ খ্রি: তারিখের চট্টগ্রামের বিভাগীয় সমাবেশ স্থগিত করা হল।

তবে চট্টগ্রাম ছাড়া অন্য বিভাগের সমাবেশ স্থগিতের বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।

‘বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি আদায়ে ঐক্য পরিষদ’-এর ৭ দফা দাবি সমূহ:

১) জাতীয় স্থায়ী বেতন কমিশন গঠনপূর্বক বঙ্গবন্ধু ঘোষিত ১৯৭৩ সনের ১০ ধাপে ৯ম পে-স্কেল বাস্তবায়ন করতে হবে। সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ বেতনের পার্থক্য ১:৫ হতে হবে। পূর্বের ন্যায় শতভাগ পেনশন প্রথা পুনঃবহাল করতে হবে।

২) এক ও অভিন্ন নিয়োগবিধি চালুসহ সচিবালয়ের ন্যায় সচিবালয়ের বাহিরের সরকারী কর্মচারীদের পদ ও বেতন বৈষম্য দূর করতে হবে। ব্লক পোস্টধারীদের পদোন্নতির সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।

৩) আউটসোর্সিং পদ্ধতি বাতিলপূর্বক উক্ত পদ্ধতিতে নিয়োগকৃত কর্মচারীদের রাজস্ব খাতে হস্থান্তর করতে হবে। বিভিন্ন দপ্তর/প্রতিষ্ঠানে উন্নয়ন খাতে কর্মরত কর্মচারীদের রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করতে হবে। ডাক বিভাগের প্রার্থী প্রথা চালুসহ মাস্টার রোল ও অন্যান্য দপ্তররে কর্মরত মাস্টার রোল, কন্টিজেন্স ও ওয়ার্কচার্জ কর্মচারীদের রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করতে হবে।

৪) সরকারি কর্মচারিদের পূর্বের ন্যায় ৩টি টাইমস্কেল, সিলেকশন গ্রেড ও বেতন সমতাকরণ পুনঃবহাল করতে হবে। জীবন যাত্রার মান সমুন্নত রাখার স্বার্থে ও টাকার অবমূল্যায়নের কারণে এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বিষয় বিবেচনা করে পেনশনের হার ৯০% থেকে ১০০% ও গ্রাইচ্যুইটির হার ১ টাকায় ২৩০ টাকার স্থলে ৪০০ টাকায় উন্নীত করণ করতে হবে।

৫) ৯ম পে-স্কেল প্রদানের পূর্ব পর্যন্ত দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উর্ধ্বগতির বিষয় বিবেচনা করে ৫০% মহার্ঘ ভাতা অবিলম্বে দিতে হবে।

৬) প্রশাসন ক্যাডারে কর্মরত কর্মচারীদের ন্যায় ১১তম থেকে ২০তম গ্রেডের সরকারি কর্মচারিদের বিনা সুদে ৩০ লাখ থেকে ৫০ লাখ টাকা গৃহনির্মাণ ঋণ দিতে হবে ও উন্নয়ন খাতের কর্মচারীদের যোগদানের দিন থেকে সিনিয়রিটি পাওয়ার জন্য করা রিট মামলার মহামান্য হাইকোর্টের রায় বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে জারিকৃত আদেশ অনতিবিলম্বে বাতিল করতে হবে।

৭) চাকুরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ বছর এবং অবসর গ্রহণের বয়সসীমা ৬২ বছর করতে হবে। প্রাথমিক শিক্ষার শিক্ষকদের ন্যায় অন্যান্য সকল দপ্তরে পোষ্য কোটা চালু করতে হবে।

সোনালীনিউজ/আইএ

Link copied!