গুমের অভিযুক্তরা এখনো চাকরিতে

গুমে ভুক্তভোগীরা মামলা করতে এখনো ভয় পাচ্ছেন: চিফ প্রসিকিউটর

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: অক্টোবর ১২, ২০২৫, ০৯:৪০ পিএম
গুমে ভুক্তভোগীরা মামলা করতে এখনো ভয় পাচ্ছেন: চিফ প্রসিকিউটর

ছবি: প্রতীকী

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেছেন, গুমের ঘটনায় অভিযুক্ত অনেক ব্যক্তি এখনো সরকারি চাকরিতে বহাল আছেন। ফলে ভুক্তভোগীরা আস্থা পাচ্ছেন না, মামলা করতেও সাহস পাচ্ছেন না।

রোববার (১২ অক্টোবর) ট্রাইব্যুনাল-১-এ সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

তাজুল ইসলাম বলেন, গুমের প্রকৃত সংখ্যা ছয় হাজারেরও বেশি, এর মধ্যে ফেরত না আসাদের সংখ্যা এক হাজারের বেশি। অনেক পরিবার ভয় ও অনিশ্চয়তার কারণে এখনো অভিযোগ জানাতে পারেনি।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার শাসনামলে গুমের অভিযোগ আনলে পরিবারগুলো নিপীড়নের আশঙ্কা করত। অনেক মা–বাবা বলেছেন, তাঁদের সন্তান ফিরে আসেনি, কিন্তু তাঁরা আর অভিযোগ দিতে চান না। একাধিক পরিবার ভয়ে এ ঘটনা প্রকাশও করতে পারেনি।

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, বিচারক নিয়োগে মেধা ও যোগ্যতা বিবেচনা না করে দলীয় আনুগত্যকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছিল। খুন ও হামলার মামলার আসামিদেরও বিচারক করা হয়েছিল। এঁরাই সরকারের নির্দেশে রায় দিয়ে স্বৈরশাসন টিকিয়ে রেখেছেন।

তিনি অভিযোগ করেন, আদালতকে ব্যবহার করা হয়েছে রাজনৈতিক বিরোধী পক্ষকে দমন করার কাজে। গুম কমিশনে ১৮ শ অভিযোগ জমা পড়েছে, তবে কমিশন জানিয়েছে, অভিযোগ না আসা মামলার সংখ্যা এর তিনগুণ।

তাজুল ইসলাম বলেন, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় প্রতিদিন বৈঠক হতো। সেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতো, জুলাই–আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে কোথায় মারণাস্ত্র ব্যবহার করা হবে। সেখানে হেলিকপ্টার ব্যবহারেরও পরিকল্পনা হয়। তিনি দাবি করেন, ওবায়দুল কাদের, আনিসুল হক, আসাদুজ্জামান কামাল ও সালমান এফ রহমানের সমন্বয়ে ‘গ্যাং অব ফোর’ এসব সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।

চিফ প্রসিকিউটর জানান, সালমান এফ রহমান তৎকালীন প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলককে নির্দেশ দিয়েছিলেন, ‘ইন্টারনেট বন্ধ তো করেছই, টিভি সম্প্রচারও বন্ধ করে দাও, আমরা ক্র্যাকডাউনে যাচ্ছি।’

এসএইচ

Link copied!