ফাইল ছবি
ঢাকা: উপদেষ্টা পরিষদের নীতিগত অনুমোদনের পর আইন মন্ত্রণালয় গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন করে নতুন অধ্যাদেশ জারি করেছে। নতুন অধ্যাদেশ অনুযায়ী একজন সংসদ সদস্য প্রার্থী তার নির্বাচনি এলাকায় প্রতিটি ভোটারের জন্য সর্বোচ্চ ১০ টাকা ব্যয় করতে পারবেন।
সোমবার আইন মন্ত্রণালয় অধ্যাদেশের গেজেট প্রকাশ করেছে। এতে নির্বাচনি ব্যয়ের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলকে সম্পৃক্ত করে কিছু পরিমার্জন আনা হয়েছে। অনুদান হিসেবে প্রাপ্ত অর্থের বিস্তারিত তালিকা প্রকাশ করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে দলীয় ওয়েবসাইটে।
চূড়ান্ত আরপিওর অনুচ্ছেদ ৪৪ অনুযায়ী প্রার্থীর নির্বাচনি ব্যয়ের সীমা ভোটারপ্রতি ১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। অনুচ্ছেদ ১৩ অনুযায়ী প্রার্থী হওয়ার সময় মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে ৫০ হাজার টাকা জামানত, যা আগে ছিল ২০ হাজার টাকা।
নির্বাচন কর্মকর্তাদের বদলির বিষয়ে উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শককেও (ডিআইজি) সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অনুচ্ছেদ ৭৩ অনুযায়ী প্রার্থী ও রাজনৈতিক দলের ক্ষেত্রে মিথ্যা তথ্য, অপতথ্য, গুজব এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) অপব্যবহার রোধে নতুন অপরাধের বিধান যুক্ত হয়েছে।
এছাড়া অনুচ্ছেদ ৭৪, ৮১, ৮৭ ও ৮৯-এ কিছু ছোটখাটো সংশোধন আনা হয়েছে। অনুচ্ছেদ ৯০ অনুযায়ী দল নিবন্ধন, আর্থিক অনুদান গ্রহণ এবং কোনো দলের নিবন্ধন স্থগিত হলে তার নির্বাচনি প্রতীক স্থগিত রাখার বিধান সংযোজন করা হয়েছে।
এসএইচ
আপনার মতামত লিখুন :