রোহিঙ্গা সঙ্কট

বাংলাদেশে আসছেন কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী

  • নিউজ ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: এপ্রিল ২৪, ২০১৮, ১১:২৮ পিএম
বাংলাদেশে আসছেন কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ঢাকা : মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে বাংলাদেশে আসছেন কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড। মে’র প্রথম সপ্তাহের ওই সফরে ওআইসির (অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন) পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনেও অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে তার।

কানাডীয় পত্রিকা দ্য গ্লোব অ্যান্ড মেইল জানিয়েছে, সফরে ফ্রিল্যান্ডের সঙ্গে থাকবেন সম্প্রতি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে যাওয়া কানাডীয় প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর বিশেষ দূত বব রে। ফ্রিল্যান্ড কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে গেলেও মিয়ানমারে যাবেন না। এ ছাড়া আগামী ৫ ও ৬ মে ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য ওআইসির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনে যোগ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তার।

ইউনিভার্সিটি অব টরন্টোর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক জন কিরটন জানান, ফ্রিল্যান্ড তার পররাষ্ট্রনীতিতে রোহিঙ্গা সঙ্কটকে প্রাধান্য দিয়েছেন। সফরে এই মন্ত্রীর মিয়ানমারে না যাওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, সেখানকার (মিয়ানমার) রোহিঙ্গা অধ্যুষিত অঞ্চলগুলোতে প্রবেশ করা সম্ভব নয়। প্রায় সেনাশাসিত অঞ্চলগুলোতে প্রবেশে অনুমতি মিলবে না। এ অবস্থায় মিয়ানমার সফরে কোনো লাভ হবে না।

এর আগে বাংলাদেশ সফর করে যাওয়া কানাডীয় দূত বব রে তার প্রতিবেদনে মিয়ানমারের রাখাইনে গণহত্যা চালানো হয়েছে বলে উলে­খ করেন। তিনি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মিয়ানমার সরকারকে বিচারের মুখোমুখি করার আহ্বান জানান। একই সঙ্গে রোহিঙ্গাদের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান ও বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জোরালো ভূমিকা রাখতে কানাডীয় সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

রোহিঙ্গা সঙ্কট মোকাবেলায় ইতোমধ্যে আর্থিক অনুদান দিয়েছে কানাডা। বিষয়টির সমাধানে দেশটি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনে সু চি সরকারের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছে তারা।

গত ২৫ আগস্ট রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর জাতিগত নির্মূল অভিযান শুরু করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। নির্বিচারে গণহত্যা, ধর্ষণ, জ্বালাও-পোড়াও, লুটপাটের শিকার হয়ে এ পর্যন্ত প্রায় ৭ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এদের প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি করলেও তা শুরু করেনি মিয়ানমার।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Link copied!