ফাইল ছবি
২০২৬ সালের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ অনিশ্চিত থাকায় নৌকা ভোটব্যাংক দখলে মাঠ পর্যায়ে তৎপরতা বেড়েছে। গোপালগঞ্জে বিএনপি ও জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থীরা নৌকা সমর্থকদের সমর্থন আদায়ে বিভিন্ন কৌশল প্রয়োগ করছেন। স্থানীয় পর্যায়ে ভোটারদের নিরাপত্তা, মামলা ও হয়রানি থেকে রক্ষা করার আশ্বাস দিয়ে ভোটার আকৃষ্ট করার চেষ্টা চলছে।
গোপালগঞ্জ-২ সদর আসনে জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী আজমল হোসেন সরদার বলেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগের সমর্থকদের সঙ্গে পারিবারিক ও সামাজিক সম্পর্ক কাজে লাগিয়ে নৌকা ভোটারদের সমর্থন নিজ দিকে আনতে চান। তিনি জানান, ‘তাদেরকে বলি এটা আওয়ামী লীগের জায়গা, যদি আওয়ামী লীগ আবার নির্বাচনের সুযোগ পায়, তারা আবারো আওয়ামী লীগকে দেবেন, না হলে আমাদের দেবেন।’
এদিকে বিএনপির প্রার্থী কে এম বাবর জানান, আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক এবার নির্বাচনে থাকবে না। ফলে সাধারণ মানুষ একাত্তর সালের পক্ষের শক্তি ধানের শীষকে ভোট দিতে পারে। তিনি জানান, বিএনপি ভোটারদের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে প্রতিশোধের রাজনীতি করবে না।
জামায়তে ইসলামীও নৌকা ভোটারদের দৃষ্টি নিজেদের দিকে আকৃষ্ট করতে সক্রিয়। সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ভোটাররা দল বা ইশতেহারের ভিত্তিতে নির্বাচন করবে। সাধারণ ভোটারদের নিরাপত্তা ও সৎ চরিত্রমূলক দিকেই নজর দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ অনিশ্চিত থাকায় নৌকা ভোটব্যাংকের প্রভাব বড়। বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিটি অঞ্চলে ভোটার দখলের লড়াই লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
এসএইচ
আপনার মতামত লিখুন :