ছবি: সংগৃহীত
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অগ্রণী ব্যাংকে থাকা দুটি লকার খুলে ৮৩২ ভরি সোনার গয়না উদ্ধার করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল ও দুর্নীতি দমন কমিশনের যৌথ তদন্ত দল। আদালতের অনুমতি নিয়ে মঙ্গলবার রাতে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে লকার দুটি খোলা হয়।
তদন্ত-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, লকার দুটি জব্দের প্রায় আড়াই মাস পর সেগুলো খোলার অনুমতি মেলে। একই দিনে শেখ হাসিনার নামে পূবালী ব্যাংকের আরেকটি লকারও খোলা হয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, উদ্ধার করা সোনার গয়নার মধ্যে আছে উপহার হিসেবে পাওয়া দলীয় প্রতীক নৌকা, শেখ কামাল ও শেখ পুতুলের বিয়ের আংটি, বিভিন্ন চুড়ি-বালা ও কানের দুল। অগ্রণী ব্যাংকের দিলকুশা শাখায় থাকা এই দুটি লকার-নম্বর ৭৫১ ও ৭৫৩-গত ১৭ সেপ্টেম্বর জব্দ করে সিআইসি।
জব্দের সময় অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ারুল ইসলাম বলেছিলেন, শেখ হাসিনা নিয়ম মেনে দুটি লকার ভাড়া নিয়েছিলেন এবং সেগুলো ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী সংরক্ষণে রাখা হয়েছে। গ্রাহক অনুপস্থিত থাকলে আদালতের অনুমতি ছাড়া লকার খোলা যায় না—সে কারণেই তদন্ত সংস্থাগুলোকে আদালতের নির্দেশনা নিতে হয়েছে।
এনবিআরের কর্মকর্তারা আরও জানান, পূবালী ব্যাংকের মতিঝিল শাখায় শেখ হাসিনার নামে থাকা ১২৮ নম্বর লকারটিও আগেই জব্দ করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী ব্যাংকের লকার খোলার জন্য গ্রাহক ও ব্যাংকের নিজস্ব—দুটি চাবিরই প্রয়োজন হয়।
অগ্রণী ব্যাংকে শেখ হাসিনার একটি ব্যাংক হিসাবও গত বছরের অগাস্টে বিএফআইইউর নির্দেশে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। সেই হিসাবে থাকা অর্থ সম্পর্কেও তথ্য সংগ্রহ করেছে এনবিআর।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নেন। এর পরই অন্তর্বর্তী সরকার তার ও পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে কর ফাঁকি এবং দুর্নীতির বিভিন্ন অভিযোগে তদন্ত শুরু করে।
এসএইচ
আপনার মতামত লিখুন :