ফাইল ছবি
ঢাকা: আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায়। নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য বিএনপি এরই মধ্যে ২৭২টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বগুড়া-৬ আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নিবেন। এই আসনেই জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মনোনয়ন পেয়েছেন আব্দুল্লাহ-আল-ওয়াকি।
এনসিপির প্রার্থী হিসেবে তার নাম ঘোষণার পর থেকেই দেশ তথা বগুড়ার রাজনীতিতে এই বিষয়টি ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছেন। কারণ এই আসনে এবার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভোট করবেন বলে দলের পক্ষ থেকে প্রাথমিক মনোনয়নে ঘোষণা করেন।
নির্বাচন কমিশেনর তথ্য বলছে, ২০০৮ সাল পর্যন্ত সব জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৬ আসন বিএনপির দখলে ছিল। এর মধ্যে ১৯৯১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত এই আসনে চারবার সংসদ সদস্য হন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।
২০১৪ সালে এ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জাপার নুরুল ইসলাম বিজয়ী হন। ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তবে তিনি শপথ না নেওয়ায় উপ-নির্বাচনে বিএনপির গোলাম মো. সিরাজ বিজয়ী হন।
২০২৪ সালের নির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান বিজয়ী হন। এই আসনে এবার এনসিপির প্রার্থীর ওয়াকির নাম ঘোষণা করা হলো।
ওয়াকি ‘২০০৭ সালে এক/এগারোর সময় স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছিল। এরপর ২০০৮ সালে আমি বিকল্প ধারায় মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচনে করেন। এরপরে ২০১৪-১৫ সালের দিকে জনশক্তি নামে একটি দল গঠন করেন। তবে জনশক্তি রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন পায়নি।’
এনসিপির হয়ে নির্বাচনের বিষয়ে ওয়াকি বলেন, 'এনসিপি নমিনেশনের জন্য আবেদন করতে আহ্বান করেছিল। সেখানে আমি আবেদন করেছিলাম। তারা আমাকে গ্রহণযোগ্য মনে করেছে। এটা খুশির খবর।'
ওয়াকি এনসিপির জাতীয় কিংবা জেলা-উপজেলার কোনো পদে ছিলেন না। অন্য কোনো দলের রাজনীতিতেও তেমন সক্রিয় ছিলেন না।
তিনি বলেন, 'এনসিপি দেশের গণঅভ্যুত্থানে নের্তৃত্ব দিয়েছে। এদের সম্মান আছে, বিশ্বাস আছে, গ্রহণযোগ্যতা আছে; এই কারণে এনসিপিতে আসা।
পিএস
আপনার মতামত লিখুন :