ঢাকা : চলতি বছরের প্রথমার্ধে মেটা প্রায় এক কোটি ভুয়া ও স্প্যাম-সম্পর্কিত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে। ক্রমবর্ধমান ভুয়া কনটেন্ট এবং অপ্রাসঙ্গিক কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণে এই পদক্ষেপ নিয়েছে সংস্থাটি। মেটার লক্ষ্য হলো ফেসবুকের ফিডকে আরও নির্ভরযোগ্য, বাস্তব এবং উপযোগী করে তোলা।
মেটা সম্প্রতি একটি ব্লগ পোস্টে জানিয়েছে যে, যারা স্প্যাম ছড়াচ্ছে এবং এআই-এর মাধ্যমে তৈরি কনটেন্ট পোস্ট করছে, তাদের ফেসবুক থেকে সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। এমন অ্যাকাউন্টগুলোর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে যারা অন্যের কনটেন্ট কৃতিত্ব না দিয়ে পুনরায় পোস্ট করছে।
মেটা এখন প্রযুক্তির সাহায্যে ডুপ্লিকেট ভিডিও বা ফটো শনাক্ত করছে যাতে ভুয়া বা চুরি করা কনটেন্টের নাগাল কমানো যায়।
এ ছাড়াও প্রায় ৫ লাখ প্রোফাইলকে স্প্যাম কার্যকলাপ এবং অস্বাভাবিক আচরণের জন্য সীমিত করা হয়েছে। এই অ্যাকাউন্টগুলোর উপার্জনের সম্ভাবনা রোধ করতে তাদের পোস্টের দৃশ্যমানতা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং কমেন্টও হ্রাস করা হয়েছে। সংস্থার মতে এই প্রোফাইলগুলো কেবলমাত্র নজর কাড়া ও নিম্নমানের কনটেন্টে প্ল্যাটফর্ম ভরিয়ে দিচ্ছিল।
মেটার সিইও মার্ক জুকারবার্গ সম্প্রতি ঘোষণা করেছেন, সংস্থাটি আগামী বছর তাদের প্রথম এআই সুপারক্লাস্টার চালু করতে যাচ্ছে এবং এর জন্য বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করা হবে। এআই-এর সাহায্যে ভুয়া ও নিম্নমানের কনটেন্ট পর্যবেক্ষণের জন্য এটি সংস্থাটির একটি বড় উদ্যোগ।
ফেসবুক ছাড়াও ইউটিউবও তাদের মনিটাইজেশন নীতিতে পরিবর্তন এনেছে, যাতে এআই-নির্মিত এবং স্প্যামজাতীয় কনটেন্ট প্রতিরোধ করা যায়। বর্তমানে এআই-এর সাহায্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় কনটেন্ট তৈরি করা খুব সহজ হয়ে গেছে, যার ফলে ভুয়া ও তুচ্ছ কনটেন্টের বন্যা দেখা দিয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন সংস্থা এখন কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে এসব কার্যকলাপ বন্ধ করতে। মেটার এই বড় পদক্ষেপটি স্পষ্টভাবে দেখিয়ে দিচ্ছে যে সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানিগুলো এখন শুধু সংখ্যার দিকে নয়, মানের দিকেও গুরুত্ব দিচ্ছে।
পিএস
আপনার মতামত লিখুন :